আজ: শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১০ এপ্রিল ২০২৩, সোমবার |

kidarkar

রোজার মাসে রেফ্রিজারেটরের ভেতরের স্পেসের সর্বোচ্চ ব্যবহার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইবাদত, রোজা ও প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটানোর বিশেষ সময় রমজান মাস। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে প্রিয়জনদের সাথে বসে ইফতার হোক অথবা সেহরি – সবক্ষেত্রে বিরাজ করে উৎসবের আমেজ।

এক্ষেত্রে, শেষ মুহুর্তের ঝামেলা থেকে বাঁচাতে যেই জিনিসটা সবচেয়ে কাজে আসে তা হলো রেফ্রিজারেটর। রমজানের ইফতার ও সেহরির খাবার প্রস্তুতির ঝঞ্চাট এড়িয়ে সময় বাঁচানোর ক্ষেত্রে ‘মিল প্রেপিং,’ অথবা আগে থেকে রান্নার প্রস্তুতি সেরে রাখা হতে পারে খুবই কার্যকর। সেক্ষেত্রে, ফ্রিজের মধ্যে জায়গার ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেনো রান্নার পদগুলো ঠিকভাবে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা যায়। এতে করে ভেতরের সব খাবারগুলো থাকবে টাটকা, নিরাপদ ও সুস্বাদু। তাই, খাবার রান্নার সময় ফ্রিজের মধ্যে হন্যে হয়ে উপকরণ না খুঁজে রেফ্রিজারেটরের ভেতরটা কিভাবে সাজালে এর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়া যাবে, তা দেখে নেয়া যাক।

প্রথমত, ধরন অনুযায়ী আইটেমগুলো গুছিয়ে রাখুন – যেমন, একটা বক্সে রাখতে পারেন সবজি এবং আরেকটাতে ফল। রেফ্রিজারেটরে ড্রয়ার একটি হলে ভিন্ন বক্সে ভরে দু’টো আলাদা করে রাখতে পারেন। দুই ড্রয়ার সমৃদ্ধ রেফ্রিজারেটর থাকলে দুটো ড্রয়ার ব্যবহার করাই শ্রেয়। রান্না করা খাবারের ক্ষেত্রে ঢাকনাসহ বক্স ব্যবহার করে একটার ওপর আরেকটা রাখলে জায়গা যেমন বাঁচবে, সাথে ভেতরেও দুর্গন্ধও হবে না। দরজার শেলফে রাখতে পারেন সস ও অন্যান্য মসলা অথবা আচার। এভাবে গুছিয়ে রাখলে রেফ্রিজারেটরের ভেতরের শেলফ ও অন্যান্য জায়গার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে। কিছু রেফ্রিজারেটরে এমনও শেলফ থাকে যা সরানো ও নড়ানো যায়। এই ‘অ্যাডজাস্টেবল’ শেলফের ব্যবহার করলে যেসব খাবার ভেতরে থাকে, সহজেই তার নাগাল পাওয়া যাবে। এতে করে ফ্রিজের ভেতরের জায়গার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়।

রমজানে খাবারের ঝামেলা কমাতে আরও কাজে আসে ‘মিল প্ল্যানিং।’ রান্নার পদগুলো আগে থকে পরিকল্পনা করে রাখলে শেষ মুহুর্তের তাড়াহুড়ো থেকে বাঁচা যায় তো বটেই, সাথে দরকারি উপকরণের উপস্থিতিও নিশ্চিত করা যায়। তাছাড়া, আগে থেকে খাবার প্রস্তুত করে ফ্রিজে রেখে দিলে পরে গরম করে খেয়ে নেয়া যায় – এতে করে সময় ও পরিশ্রম, উভয়ই বাঁচে। পাশাপাশি, পরিবারের সদস্যদের জন্য পুষ্টিমান অনুযায়ী খাবারের সমন্বয়
করাও সহজ হয়।

ইফতারের জন্য মাঝে মাঝে ভাজাপোড়া বাদ দিয়ে গ্রিলড চিকেন বা মাছ খাওয়া যেতে পারে। সাথে থাকতে পারে রোস্টেড সবজির পদ। আর সেহরিতে রাখা যেতে পারে ওটস, স্মুথি বোল ও ডিম এবং সবজির পদ ও ফলমূল। এসব খাবার প্রস্তুত করার ঝামেলাও কম; এবং আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখলে বাঁচবে সময় ও শ্রম। এতে করে, রোজার সময় পুষ্টিকর খাবারের চাহিদা পূরণ হবে। সারাদিন রোজা রাখতে হবে এটা চিন্তা করে সেহরির
সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো। আবার একইভাবে, ইফতারে বেশি ভাজাপোড়া খাবার অ্যাসিডিটির কারণ হতে পারে।

অন্যান্য সময়ের মতো রোজার সময়ও খাদ্য সুরক্ষা ও বিধি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই, কাঁচা মাংস ও সবজি ফ্রিজারে সঠিকভাবে বক্স করে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে।

এসব বিষয় বিবেচনা করে, আপনি যদি বাসার জন্য নতুন রেফ্রিজারেটর কিনতে চান সেক্ষেত্রে স্যামসাং হতে পারে প্রথম পছন্দ। অনন্য ডিজাইনের স্যামসাং রেফ্রিজারেটরে রয়েছে ফ্লেক্সিবল শেলভিং ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের উদ্ভাবনী সব ফিচার। এর ফলে, স্যামসাং রেফ্রিজারেটরে সহজেই খাবার সংরক্ষণ করা যাবে – এতে খাবার যেমন থাকবে সতেজ ও তেমনি পুষ্টিমান থাকবে অটুট।

স্যামসাং এর রেফ্রিজেরেটরে ব্যবহৃত হচ্ছে স্পেসম্যাক্স টেকনোলজি, যার কারণে ফ্রিজের ওয়ালগুলো পাতলা হয়।

এর ফলে ফ্রিজের ভেতরের জায়গা বেড়ে যায় , বাইরের আকার পরিবর্তন না করে কিংবা কার্যকারিতায় কোনো কমতি না রেখেই। এক্ষেত্রে, বড় থেকে ছোট, স্যামসাং -এ রয়েছে পরিবারের প্রয়োজন ও বাজেট অনুযায়ী বিস্তৃত পরিসর ও মডেলের রেফ্রিজারেটর।

একটু চেষ্টা করলেই আপনিই সহজেই আপনার রেফ্রিজারেটরের ভেতরের জায়গা কার্যকরীভাবে সুব্যবস্থাপনা করতে পারবেন। আর এক্ষেত্রে ওপরের পরামর্শগুলো অনুসরণ করে পরিবার-পরিজনদের সাথে উপভোগ করুন ঝামেলাবিহীন রমজান।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.