আজ: রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১২ এপ্রিল ২০২৩, বুধবার |

kidarkar

খাদ্যপণ্য কিনতেই যায় আয়ের অর্ধেক

নিজস্ব প্রতিবেদক : একটি পরিবারে যে আয় হয়, তার প্রায় অর্ধেকই চলে যায় খাদ্যপণ্য কিনতে। অর্থাৎ খাদ্যপণ্য কেনায় একটি পরিবারে ব্যয় হয় ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ। তবে এই ব্যয় খাদ্যদ্রব্য বহির্ভূত ভোগ্যপণ্য সম্পর্কিত ব্যয়ের থেকে কম। অর্থাৎ খাদ্যদ্রব্য বহির্ভূত ভোগ্যপণ্যের পেছনে খরচ বেড়েছে।

এ তথ্য প্রকাশ করেছে দারিদ্র্যের হার নির্ধারণে কাজ করা সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। বুধবার (১২ এপ্রিল) বিবিএস মিলনায়তনে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

হাউজহোল্ড ইনকাম এক্সপেন্ডিচার সার্ভের (হেইজ) তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যায়, খানায় খাদ্যদ্রব্য ও খাদ্যদ্রব্য বহির্ভূত ব্যয়ে লক্ষণীয় পরিবর্তন হয়েছে। খানার খাদ্যপণ্য ক্রয় সংক্রান্ত ব্যয়ের তুলনায় খাদ্যদ্রব্য বহির্ভূত ভোগ্যপণ্য সম্পর্কিত ব্যয় বেড়েছে।

হেইজের তথ্য-উপাত্তের ধারা বিশ্লেষণে দেখা যায়, খানার খাদ্যপণ্য কেনা সংক্রান্ত ব্যয় ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ এবং খাদ্যদ্রব্য বহির্ভূত ভোগ্যপণ্য সম্পর্কিত ব্যয় ৫৪ দশমিক ২ শতাংশ। ২০১৬ সালে যা ছিল যথাক্রমে খাদ্যপণ্যে ৪৭ দশমিক ৭ শতাংশ ও খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে ৫২ দশমিক ৩ শতাংশ।

বর্তমান জরিপের তথ্য-উপাত্তে দেখা যায়, জনপ্রতি দৈনিক ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ ইতিবাচকভাবে বেড়েছে। বর্তমানে জনপ্রতি ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ দৈনিক দুই হাজার ৩৯৩ কিলো ক্যালরি, যা ২০১৬ সালে ছিল দুই হাজার ২১০ কিলো ক্যালরি, আর ২০১০ সালে ছিল দুই হাজার ৩১৮ দশমিক ৩ কিলো ক্যালরি।

প্রতিবেদন প্রকাশের সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমসহ সংশ্লিষ্টরা।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.