আজ: বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৬ এপ্রিল ২০২৩, রবিবার |

kidarkar

ইকুয়েডরে কারাগারে সহিংসতায় নিহত ১২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের কারাগারে ভয়াবহ সহিংসতায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের সবাই করাগারটিতে বন্দি ছিলেন। স্থানীয় সময় গত শুক্রবার দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির একটি কারাগারে দু’টি অপরাধী গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতা ও প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। মূলত দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে কারাগারে দাঙ্গা ও প্রাণহানির ঘটনা খুবই সাধারণ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার দেশটির অন্যতম বিপজ্জনক গুয়াকিল শহরের লা পেনিটেনসিয়ারিয়া নামে পরিচিত ওই কারাগারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে ইকুয়েডরের কারাগারবিষয়ক সংস্থা এসএনএআই শনিবার জানিয়েছে।

বিবিসি বলছে, ইকুয়েডর ২০২১ সাল থেকে কারাগারের দাঙ্গায় জর্জরিত। এসব দাঙ্গা-সহিংসতার যার ফলে শত শত বন্দির মৃত্যু হয়েছে। সরকার অবশ্য এই সহিংসতা ও প্রাণহানির কারণ হিসেবে একে অপরের সঙ্গে লড়াইরত মাদক চক্রগুলোর মধ্যে সংঘর্ষকে দায়ী করে থাকে।

এসএনএআই সাংবাদিকদের জানিয়েছে, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ১২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রসিকিউটর অফিস এবং পুলিশ মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য কারাগারে রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

অবশ্য ইকুয়েডরের কারাগারে সহিংসতার কারণ হিসেবে অপরাধীদের শাস্তি ব্যবস্থার প্রতি রাষ্ট্রীয় অবহেলাকে গত বছর দায়ী করেছিল জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল।

অন্যদিকে ইকুয়েডরে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা মোকাবিলা করতে সংগ্রাম করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসসো। অবশ্য পেশায় সাবেক ব্যাংকার রক্ষণশীল এই নেতা দুর্নীতির অভিযোগে অভিশংসনের শুনানির মুখোমুখি হয়েছেন। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম বলছে, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে মেক্সিকো হয়ে মাদকের যেসব চালান যুক্তরাষ্ট্র যায়, সেগুলোর প্রধান রুট হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে ইকুয়েডর। বিপুল ঝুঁকি এবং একইসঙ্গে প্রচুর অর্থ থাকার কারণে ইকুয়েডরের বন্দর এলাকাগুলোতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্যাংয়ের প্রভাব বাড়ছে। এসব অপরাধী গোষ্ঠী কোনো না কোনোভাবে মাদক চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত।

উল্লেখ্য, ইকুয়েডরে কারাগারে দাঙ্গা ও প্রাণহানির ঘটনা খুবই সাধারণ। মাদক, বিশেষ করে কোকেনের চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিয়মিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ এবং তাদের দ্বন্দের কারণেই দেশটির কারাগারগুলো দিন দিন কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে রূপান্তরিত হচ্ছে।

এছাড়া এলাকা নিয়ন্ত্রণ এবং মাদক পাচারের রুট নিয়ে কারাগারে বন্দি সন্ত্রাসীদের মধ্যেও বিরোধ কাজ করে থাকে। এ কারণে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে কারাগারে দাঙ্গার ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.