আজ: বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৬ এপ্রিল ২০২৩, রবিবার |

kidarkar

গোল করে রোনালদোকে ছুঁলেন মেসি, পিএসজির বড় জয়

স্পোর্টস ডেস্ক: আগের ম্যাচেই পিএসজিকে জয়ের ধারায় ফিরিয়েছিলেন দলের বিশ্বজয়ী আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। তার গোলেই অশান্ত ফরাসি ক্লাবটিতে স্বস্তি ফেরে। চলতি মৌসুম যতই সামনে আগাচ্ছে, তার পিএসজি ছাড়ার গুঞ্জন ততই জোরালো হচ্ছে। কিন্তু দলের বাজে দশা নিয়ে নিশ্চয়ই এই অধ্যায় শেষ করতে চাইবেন না এই মহাতারকা। তাই তো টানা দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি পেয়েছেন গোলের দেখা। ছুঁয়েছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকেও।

কেবল মেসিই নন, আগের ম্যাচে কয়েকটি সহজ সুযোগ মিস করা ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপেও গোল করেছেন। স্কোরশিটে  নাম তুলেছেন দলের আরেক ফুটবলার ভিতিনিয়াও। ফলে লিগ ওয়ানের শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে মৌসুমে পিএসজির প্রায় সমান প্রতিপক্ষ লেন্সকে তারা ৩-১ গোলের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) পার্ক দ্য প্রিন্সেসে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দু’দল মুখোমুখি হয়েছিল। তাই তো লড়াইয়ের প্রথমাংশে ছিল সমানে সমানে উত্তেজনা। যেন কেউ কাউকে না ছাড়ার পণ নিয়ে নেমেছিল। তবে সেই লড়াই টিকে থাকে কেবল ম্যাচে প্রথম আধাঘণ্টা। এরপরই পিএসজির দাপট শুরু। ম্যাচের মাত্র ১৯ মিনিটেই বড় ধাক্কা চলতি সিজনে আগের তিন ম্যাচে পিএসজিকে জয়হীন রাখা লেন্স। আশরাফ হাকিমিকে অযথা ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন আবদুল সামেদ। ১০ জনের দল নিয়ে তাই ম্যাচের পরের অংশে বেশ ভুগেছে তারা।

ধাক্কা খেয়ে ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়তে থাকে লেন্স। ৩১ মিনিটে পিএসজিকে প্রথম লিড এনে দেন এমবাপে। লেন্সের ডি বক্সের সামনে তাকে বল বাড়ান মেসি। এরপর এমবাপের সঙ্গে ভিতিনিয়ার ওয়ান অন ওয়ানের পর শট নেন ফরাসি স্ট্রাইকার। এমবাপের সেই শট পোস্টের ভেতরে লেগে বল জাল খুঁজে নেয়।

এরপর ৩৭ মিনিটে তাদের হয়ে গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিতিনিয়া। এটি পিএসজির জার্সিতে তার প্রথম গোল। তার গোলে বল জোগান দেন মেসি। কর্নার থেকে লম্বা করে বল না বাড়িয়ে আর্জেন্টাইন তারকা বল বাড়ান ভিতিনিয়াকে। এরপর ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে তিনি লক্ষ্যভেদ করেন। এর দুই মিনিট পরই গোল পেয়ে যান মেসিও। গোলটিও ছিল চোখে লেগে থাকার মতো। মেসি ডি বক্সে ঢুকে বল বাড়ান এমবাপেকে। এরপর ফরাসি তারকা ব্যাকহিল ফ্লিকে বল বাড়ালে সেটি ধরে কোনাকুনি শট নেন মেসি। গোলরক্ষককে পরাস্ত করে সেটি জালে পৌঁছে যায়।

এই গোলের মাধ্যমে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড স্পর্শ করেছেন। এর আগে এই রেকর্ড ছিল একমাত্র রোনালদোর দখলে। এখন দুজনের গোল সংখ্যা সমান ৪৯৫টি করে। প্রথমার্ধে ৩-০ ব্যবধান নিয়ে বিরতিতে যান মেসিরা।

দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল পায়নি ফরাসি জায়ান্টরা। তবে মেসি-এমবাপে মাঠে ছিলেন পুরো সময়জুড়েই। ম্যাচের ৬০ মিনিটে ব্যবধান কমায় লেন্স। পেনাল্টি থেকে শেমেসোয়াফ ফ্রাঙ্কোভস্কি সেই ব্যবধান নামি আনেন ৩-১ গোলে। এই জয়ে ফ্রেঞ্চ লিগের শিরোপা দৌড়ে পিএসজি পরিস্কার ব্যবধানে এগিয়ে গেল। মৌসুমে আর মাত্র ৭টি করে ম্যাচ বাকি দু’দলের। তার আগে সমান ৩১ ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ৭২, অন্যদিকে ৬৩ পয়েন্ট লেন্সের।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.