আজ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৬ এপ্রিল ২০২৩, রবিবার |

kidarkar

ট্রেজারি বন্ডের আনুষ্ঠানিক লেনদেন শুরু করলো লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : গ্রাহক পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক লেনদেন শুরু করেছে দেশের শীর্ষ ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড। রোববার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকার ট্রেজারী বন্ড লেনদেনের মাধ্যমে এই খাতের গ্রাহক সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করল প্রতিষ্ঠানটি।

গত ১১ অক্টোবর ২০২২ বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের নেতৃত্বে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ট্রেজারী বন্ডের লেনদেন শুরু করা হয়। ঐদিন লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড ঢাকা ও চট্টগ্রাম উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে ট্রেজারী বন্ড লেনদেনের মাধ্যমে এই খাতের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে।

ট্রেজারী বন্ড হল সরকারি সিকিউরিটিজ। এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে সরকার বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। বাংলাদেশে ২,৫,১০,১৫,২০ বছর মেয়াদি ট্রেজারী বন্ড রয়েছে। বর্তমানে ২৪৬ টি ট্রেজারী বন্ড লেনদেন হচ্ছে সেকেন্ডারি বাজারে। সাধারনত প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার ট্রেজারী বন্ডের অকশন অনুষ্ঠিত হয় যেটি বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনা করে; আর এটি হল প্রাইমারি মার্কেট।

দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকে বিপি একাউন্ট খোলার মাধ্যমে এই বন্ডের লেনদেন করতে হত। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে থেকে এই বন্ডে বিনিয়োগ করা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে যেকোনো ব্যক্তি বিনিয়োগকারী অথবা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানে বিও একাউন্ট খুলে এই খাতে সরাসরি বিনিয়োগে আসতে পারবে। এই ট্রেজারী বন্ডগুলোর কাস্টডিয়ান হল বাংলাদেশ ব্যাংক। এই বন্ড ছয় মাস পরপর কুপন বা সুদ প্রদান করে। এই ট্রেজারী বন্ডের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল সেকেন্ডারি মার্কেটে ক্রয়-বিক্রয়ের সুযোগ। এই লেনদেনের মাধ্যমে সৃষ্ট মূলধনী মুনাফাও এখাতের আরেকটি আয়। অর্থাৎ এই খাত থেকে সুদ ও মূলধনী মুনাফা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।

আসছে জুন মাস, আয়কর রেয়াতের জন্য করদাতাগণ এই খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন। ১ লাখ টাকার গুণিতক যে কোন পরিমান অর্থ এই খাতে বিনিয়োগ করা যায়। বর্তমানে একটি নির্দিষ্ট অংকের উপর ১৫% কর রেয়াত সুবিধা পাচ্ছে ব্যক্তি শ্রেনীর করদাতাগণ।

ট্রেজারী বন্ড লেনদেন কিছু বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকতে হয় যেমন: বন্ডের ইস্যু ও ম্যাচুরিটির তারিখ, কুপন রেট, ইল্ড রেট, ক্লিন প্রাইস, ডার্টি প্রাইস ইত্যাদি। এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে ট্রেজারী বন্ডের ক্রয়-বিক্রয়ের দর নির্ধারিত হয়। অর্থবাজারে তারল্য প্রবাহের উপর ভিত্তি করে ইল্ড রেট পরিবর্তন হয়। যা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ ব্যাংক তার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করছে।

এই বিষয়গুলো গ্রাহকদের সুন্দর ও সহজভাবে বুঝাতে প্রয়োজন দক্ষ রিলেশনশিপ ম্যানেজার।

লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড তার দক্ষ ও দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ট্রেজারী বিভাগ চালু করেছে। গ্রাহক এবং কর্মকর্তাদের মাঝে সচেতনতা তৈরি জন্য বিভিন্ন কর্মশালাও পরিচালনা করছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.