উ. কোরিয়ার সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই ৩ দেশের যৌথ মহড়া
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই যৌথ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা মহড়া চালিয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি মোকাবিলার লক্ষ্যে এই যৌথ মহড়া চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর আল জাজিরার।
গত সপ্তাহে নতুন একটি সলিড-ফুয়েল আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ংয়ের দাবি, এটি তাদের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ক্ষেপণাস্ত্র। দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়াতে এই পরীক্ষাকে ‘অলৌকিক সাফল্য’ হিসেবেও প্রচার করা হয়েছে।
সলিড-ফুয়েল ক্ষেপণাস্ত্রে মিহি পাউডারের মতো কঠিন জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। এটি তরল জ্বালানি দিয়ে চালিত ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে দ্রুত নিক্ষেপ করা যায়। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মাঝপথে আটকানোও কঠিন।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, শতভাগ সফল সলিড-ফুয়েল আইসিবিএম তৈরি করতে উত্তর কোরিয়ার আরও সময় লাগবে। উত্তর কোরিয়া এর আগে যেসব আন্তঃমহাদেশীয় সলিড ফুয়েল ক্ষেপণাস্ত্র বা আইসিবিএমের পরীক্ষা চালিয়েছে, সেগুলো ছিল অল্প দূরত্বের। এই প্রথমবার তারা দূরপাল্লার সলিড-ফুয়েল ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো। এটি আরও বেশি আধুনিক যা শনাক্ত করা কঠিন এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রে সরাসরি আঘাত হানতে সক্ষম।
দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনী জানিয়েছে, সোমবারের যৌথ প্রতিরক্ষা মহড়া দেশটির পূর্ব উপকূল থেকে আন্তর্জাতিক জলসীমায় অনুষ্ঠিত হয় এবং উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্তকরণ, ট্র্যাকিং এবং তথ্য আদান-প্রদানের দক্ষতা অর্জনের পদ্ধতিতে জোর দিচ্ছে তারা। একদিনের নৌ মহড়ায় প্রতিটি দেশ থেকে একটি এজিস ডেস্ট্রয়ার অংশ নেয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর মুখপাত্র জ্যাং দো-ইয়ং এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই মহড়ার লক্ষ্য হচ্ছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের সক্ষমতা আরও বাড়ানো এবং উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকি বিপরীতে আমাদের যৌথ অভিযান পরিচালনা করার ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করা।
দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র সোমবার একটি পৃথক দ্বিপাক্ষিক মহড়া শুরু করেছে। এতে উন্নত এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানসহ প্রায় ১১০টি যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে। আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এই মহড়া চলবে। এই যৌথ মহড়া কোরীয় দ্বীপে উত্তেজনা আরও বাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।