আজ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৭ এপ্রিল ২০২৩, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

বড় পরিসরে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :বাংলাদেশে আরও বেশি পরিমাণে জাপানি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রকৃত বিনিয়োগ এখনও কম। আমরা জাপানের কাছ থেকে আরও বিনিয়োগ চাই। আমি আপনাদের সবাইকে বাংলাদেশে আসার জন্য ও ব্যবসা ও বিনিয়োগের সম্ভাবনাগুলো অন্বেষণ করতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, সরকারের নীতির কারণে বাংলাদেশ বিনিয়োগ, শিল্পায়ন এবং রপ্তানির জন্য একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হতে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) টোকিওর গ্যালাক্সি বল রুমে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বিএই অঞ্চলে এবং এর বাইরে বিভিন্ন গন্তব্যে রপ্তানির জন্য একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হবে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) যৌথভাবে ‘বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ’ শীর্ষক এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

বিএসইসির চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলাম সম্মেলনে একটি প্রেজেন্টেশন দেন।

বাংলাদেশে বিনিয়োগে রিটার্ন ধারাবাহিকভাবে বেশি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ছাড়াও বাংলাদেশের ব্যবসাবান্ধব আর্থিক ও অ-আর্থিক নীতি এবং প্রণোদনা, স্থিতিশীল গণতন্ত্র, বিচক্ষণ শাসন ও নেতৃত্বের নিশ্চয়তা বৈদেশিক বিনিয়োগের ভালো ফল দেবে।

তিনি বলেন, আমরা আত্মবিশ্বাসের সাথে আশ্বস্ত করতে পারি যে বাংলাদেশ বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সুনিশ্চিত ভবিষ্যত নিশ্চিত করে। আমরা বিশ্বের সকল বিনিয়োগকারীদের এবং বিশেষ করে জাপানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য স্বাগত জানাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১৭০ মিলিয়ন মানুষের দেশ যেটি নিজেই একটি ক্রমবর্ধমান বাজার এবং প্রায় তিন বিলিয়ন ভোক্তাদের একটি বৃহৎ বাজারের কেন্দ্রস্থলে এর অবস্থান ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য একটি বিশাল আকর্ষণ প্রদান করে।

তিনি বলেন, এইচএসবিসি গ্লোবাল রিসার্চ প্রজেকশন রিপোর্টে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য ও জার্মানিকে ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজার হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আইসিটি, ইলেকট্রনিক্স, অবকাঠামো, চামড়া, টেক্সটাইল, আতিথেয়তা ও পর্যটন, ভারী শিল্প, রাসায়নিক ও সার এবং এসএমইর মতো বিভিন্ন খাতে সুযোগ অনেক বেড়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ১০০ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাই-টেক এবং সফটওয়্যার পার্ক নির্মাণ করছে।

তিনি বলেন, “আমি জাপানি বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে চাই যে বাংলাদেশ আপনার জন্য প্রস্তুত, এবং সেখানে গেলে আপনার দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা হবে। আপনার ব্যবসার সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সংস্থা এবং কাঠামো সুবিধার জন্য তৈরি করা হয়েছে”।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে বিশেষ করে পাবলিক প্রাইভেট জয়েন্ট ইকোনমিক ডায়ালগের (পিপিইডি) মতো উচ্চ পর্যায়ের যৌথ প্ল্যাটফর্ম রয়েছে তাদের।

রোড শোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনসহ বিএসইসির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.