আজ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩০ এপ্রিল ২০২৩, রবিবার |

kidarkar

সারাদেশে ৩৩, হাওরে ৯০ শতাংশ ধান কাটা শেষ : কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাদেশে ৩৩ শতাংশ এবং হাওরে ৯০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। একই সঙ্গে হাওরে বন্যা আসার আগেই যাতে ধান কাটা যায় তেমন জাত নিয়ে বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন বলেও জানান তিনি

রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে বোরো ধান নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ধানের আমাদের মূল মৌসুম হলো বোরো। আমরা প্রতিবছর ৪৮-৪৯ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো করে থাকি। এবার আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৯ লাখ ৭৬ হাজার হেক্টর, অর্জন হয়েছে ৫০ লাখ হেক্টর। এ বছর যা টার্গেট করেছিলাম, এর থেকে বেশি বোরো লাগানো হয়েছে।

তিনি বলেন, হাওরের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এবং উঁচু জায়গাও রয়েছে। হাওরে সবমিলিয়ে ৯ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। হাওরে আমাদের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩৮ লাখ টন। আগে প্রত্যেক বছরই দেখতাম কিছু না কিছু হাওর এলাকা ডুবে যেত, ধান নষ্ট হতো, কৃষকরা তাদের ধান ঘরে তুলতে পারত না।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ বছর এই মুহূর্ত পর্যন্ত খবর হলো হাওরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ৯০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে, কৃষকদেরকে আমরা তাড়াতাড়ি ধান কাটতে উৎসাহিত করেছি। সুনামগঞ্জে এক হাজার কম্বাইন্ড হারভেস্টার ধান কেটেছে। ৬৬৮টি রিপার ধান কেটেছে। এবার তেমন বন্যাও আসেনি। এটা আমাদের একটা বড় অর্জন।’

এবার বোরোতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ কোটি ১৫ লাখ জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করছি দুই কোটি ২০ থেকে ২৫ লাখ টন অর্জন হবে। এরইমধ্যে সারাদেশের ৩৩ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। একটা ভালো অগ্রগতি হয়েছে। আশা করা যায় যে খাদ্য নিয়ে আর সমস্যা হবে না। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলেই রয়েছে।’

সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ও শিলা বৃষ্টিতে ধানের ক্ষতি হয়েছে কি না জানতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘শিলাবৃষ্টিতে স্থানীয়ভাবে কিছুটা ক্ষতি হয়। হতে একটা দুইটা গ্রামের ক্ষতি হয়। ব্যাপক যে ক্ষতি হওয়া, শিলাতে সেটি হয়নি। আমরা ধরে নিয়েছি প্রতিবছর যে ক্ষতি হয় এবারও তাই হবে। বাংলাদেশের যে প্রকৃতি তাতে এটা হতেই পারে। এবার ধানের দামও মোটামুটি ভালো। চাষিরা ধান বিক্রি করছেন, তাদের কোনো অভিযোগ নেই।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, ধান কাটা ও উৎপাদনের মূল মৌসুম হলো বোরো। আগে বোরো উল্লেখযোগ্য কোনো ফসল ছিল না। বিলে সেচ দিয়ে খুব সীমিত আকারে এ ধানের চাষ করা হতো। উৎপাদনশীলতাও কম ছিল। কিন্তু সেচপ্রথার উন্নয়নের সঙ্গে আজ বোরোই প্রধান ফসল হয়ে গেছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.