দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল হতে পারে অক্টোবরে : তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতেবেদক : আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন চলতি বছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে। সে হিসাবে আগামী অক্টোবর মাসে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (২ মে) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সংবাদপত্র শ্রমিক ফেডারেশন ও প্রেস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের নেতা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এ তথ্য জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকার ছিল লুটেরাদের সরকার। তারা মেহনতি মানুষের ওপর গুলি চালাত। শ্রমিকদের অধিকার লুণ্ঠন যদি কেউ করে থাকে, সেটা বিএনপি সরকার করেছে। আজও বিএনপি লুটেরাদের প্রতিনিধিত্ব করে। ব্যাংকে ঋণ নিয়ে না দেওয়ার সংস্কৃতি জিয়াউর রহমান সরকার চালু করেছিল।
বিশ্বব্যাংক ইস্যুতে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পদ্মা সেতুতে রেল প্রত্যাহার করে তারা ভুল করেছিল সেটা এখন তারা বুঝতে পেরেছে। পরবর্তীতে পদ্মা সেতুসহ আরও কয়েকটি প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক আবার ঋণ দিতে চেয়েছিল কিন্তু বাংলাদেশ সেই ঋণ নেয়নি। কোন প্রকল্পের ঋণ নেবে আর কোথায় নেবে না সেই সক্ষমতা বাংলাদেশ অর্জন করছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। সেই সাহস ও সামর্থ্য অর্জন করায় আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছে।
নতুন করে ২.৫ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা চুক্তিকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আইএমএফ-এর প্রধান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রয়োজন। শুধু সরকারের সমালোচনা না করে বিএনপির মহাসচিব ইসলাম মির্জা ফখরুল ইসলামকে আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংক কি বলছে তার দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ধরে রাখতে শেখ হাসিনার সরকার অব্যাহত থাকা প্রয়োজন, সেটা আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে পরিষ্কার।
সংবাদপত্র শ্রমিক ফেডারেশন ও প্রেস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের ৯ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের অনেকগুলো দাবি যৌক্তিক এবং দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি সম্ভব। এর মধ্যে নিয়মিত বেতন-ভাতা না দেওয়া এবং বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত, বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা– এই দাবিগুলো দ্রুত সময়ে মেনে নেওয়া সম্ভব। এজন্য আমার মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং কমিটিকে কোন সংবাদপত্রে নিয়মিত বেতন দেওয়া হয় না তার একটি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেব। তাদের প্রতিবেদনের পর সংবাদপত্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের দাবি-দাওয়াগুলো পূরণ করার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
এসময় সংবাদপত্র শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি মতিউর রহমান তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।