আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৫ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিলে ভিসা নয়ঃ যুক্তরাষ্ট্র

আন্তরজাতিক ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান ‘নিশ্চিত’ করার লক্ষ্যে নতুন একটি ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এই নীতি অনুসারে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে তার জন্য দায়ী ব্যক্তি এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সরকারের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকারপন্থী ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এই বিধিনিষেধের আওতায় পড়বেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ মে) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে এই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

ব্লিঙ্কেন নিজে এটি টুইট করেছেন।বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইটেও এই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আমি আজকে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এই নীতির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যেকোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে।’

বিবৃতির ভাষ্য অনুসারে, গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে, এমন কাজের মধ্যে রয়েছে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে খর্ব করা এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বিবৃতিতে বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমসহ সবার। যারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায়, তাদের সবাইকে আমাদের সমর্থন দিতে আমি এই নীতি ঘোষণা করছি।’

আগামী বছরের (২০২৪) জানুয়ারি মাসে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)সহ কয়েকটি দল বর্তমান সরকারের অধীনে জাতীয় নির্ভাচনে যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবী জানিয়ে আসছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার বলছে, বর্তমান সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিধান নেই। তারা নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে। সরকার দাবি করছে, আগামী নির্বাচন হবে শতভাগ সুষ্ঠু।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.