আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০১ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

পুঁজিবাজারের জন্য ভালো বা খারাপ খবর নেই বাজেটে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য বিশেষ সুখবর নেই। কোম্পানিগুলোর করপোরেট করসহ অন্যান্য নীতিমালা অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।

২০২২-২৩ অর্থবছরে কমপক্ষে ১০ শতাংশ শেয়ার ছেড়েছে এমন কোম্পানিগুলোকে আড়াই শতাংশ ছাড় দিয়ে মুনাফার ২০ শতাংশ কর হিসাবে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল।

আগামী অর্থবছরে প্রস্থাবিত বাজেটেও তা-ই রাখার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তবে শর্ত পরিপালনে ব্যর্থ হলে কর দিতে হবে ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করহারও অপরিবর্তিত থাকছে। পূর্বের মতোই এসব কোম্পানিকে ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ কর দিতে হবে। মার্চেন্ট ব্যাংকের করহারও ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ রাখা হয়েছে।

আর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন ব্যাংক ও বিমাকে তাদের আগের মতোই ৪০ শতাংশ কর দিতে হবে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এমন কোম্পানির করহারও আগের মতোই ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ থাকছে।

এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে।’ প্রস্তাবিত বাজেট আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এটি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৫ দশমিক ২ শতংশ।

বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৪৭ কোটি এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ। রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি এবং অন্যান্য উৎস হতে ৭০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৭ শতাংশ ধরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫০ লাখ ৬ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। সেই হিসাবে বাজেটের আকার দাঁড়াচ্ছে জিডিপির ১৫ দশমিক ২ শতাংশ।

আগামী বাজেটে ব্যয়ের বিপরীতে সরকার মোট রাজস্ব প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৫ লাখ কোটি টাকা, যা প্রাক্কলিত জিডিপির ১০ শতাংশ। এর মধ্যে রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর থেকে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা আসবে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.