আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৫ জুন ২০২৩, সোমবার |

kidarkar

প্রথম দিনে ভারত থেকে এলো ১৫৩২ টন পেঁয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আমদানি বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের বাড়তি দামে কয়েকদিনের মধ্যে অস্থির হয়ে ওঠে দেশের বাজার। দিশেহারা হয়ে পড়েন ক্রেতারা। অবশেষে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি মিলেছে। এর প্রভাবে বাজারে কমতে শুরু করেছে দামও। কয়েকদিন ধরে স্থানভেদে ৮৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। সেই পেঁয়াজের দাম এখন স্থানভেদে ১০-২৫ টাকা কমেছে।

এদিকে আমদানি অনুমতির প্রথম দিন সোমবার (৫ জুন) ভারত থেকে ১৫৩২ টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করেছে। এরমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ১ হাজার ৯৭ টন, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ৩০০ টন, দিনাজপুরের হিলি দিয়ে ৪০ টন ও যশোরের বেনাপোল দিয়ে ৭৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।শেয়ারবাজার নিউজের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য তুলে ধরা হলো।

সোনামসজিদ স্থলবন্দর

আড়াইমাস পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ফের পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। বিকেল থেকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে এ পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। এরইমধ্যে পেঁয়াজ ভর্তি ৫৭টি ট্রাক সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে। যেখানে ১ হাজার ৯৭ টন পেঁয়াজ এসেছে বলে নিশ্চিত করেছেন সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ।

এর আগে সর্বশেষ গত ১৫ মার্চ পেঁয়াজ এসেছিল সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে। এরপরই বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।

ভোমরা স্থলবন্দর

আমদানির অনুমতি প্রাপ্তির প্রথম দিনে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ১১ ট্রাক (৩০০ টন) ভারতীয় পেঁয়াজ এসেছে। সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় এসব ট্রাক বাংলাদেশের ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করে বলে শেয়ারবাজার নিউজকে নিশ্চিত করেছেন ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতা মন্টু বিশ্বাস।

ভোমরা বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন শেয়ারবাজার নিউজকে জানান, কয়েকজন ব্যবসায়ী আইপি (আমদানির অনুমতি পত্র) পেয়েছেন। সন্ধ্যায় ১১ ট্রাক পেঁয়াজ ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করেছে।

হিলি স্থলবন্দর

দীর্ঘ আড়াই মাস পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়েও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে পেঁয়াজবোঝাই দুটি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশে করে। এতে ৪০ টন পেঁয়াজ আনে এন আলম এন্টারপ্রাইজ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ শেয়ারবাজার নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বেনাপোল স্থলবন্দর

দীর্ঘ আড়াইমাস পর যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। সোমবার (৫ জুন) রাত ৮টার দিকে তিনটি ট্রাকে ৭৫ টন পেঁয়াজ এনেছে ঢাকার আমদানিকারক জারিফ ইন্টারন্যাশনাল।

বিষয়টি শেয়ারবাজার নিউজকে নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার তানভির আহমেদ।

তিনি বলেন, রাতে ভারত থেকে ৭৫ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে এসেছে। প্রতি টন ১৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি হলেও শুল্কায়ন করা হয়েছে প্রতি টন ৩২০ ডলারে। আমদানি পেঁয়াজ ছাড় করাতে ব্যবসায়ীদের শুল্কায়ন মূল্যের ওপর শতকরা ১০ ভাগ হারে শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে।

আমদানিকারকের প্রতিনিধি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের আমদানিকারকের ৭৫ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ছাড় করে ঢাকায় পাঠানো হবে। প্রতি টন ৩২০ মার্কিন ডলারে শুল্কায়ন ও সরকারি শুল্ক পরিশোধ করে প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য পড়েছে ৩৯ টাকা। এর ওপর বন্দর চার্জ, ট্রাক ভাড়াসহ অন্য খরচ মিলিয়ে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা পড়বে।

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক আনু বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে আজ কৃষি মন্ত্রণালয়ের খামারবাড়ি থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনুমতিপত্র দিয়েছে। এরইমধ্যে ব্যবসায়ীরা এলসি করেছেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যে পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির এলসি করছেন সেসব পেঁয়াজ এলে বর্তমান বাজারে পেঁয়াজের যে দাম তা অর্ধেকে নেমে আসবে। আজ রাতে তিন ট্রাকে ৭৫ টন পেঁয়াজ এসেছে।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এসব পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত খালাস করতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.