আজ: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৭ জুন ২০২৩, বুধবার |

kidarkar

তারা বিএনপিকে ব্যবহার করবে কিন্তু ক্ষমতা দেবে না: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ‘কোনো বহিরাগত শক্তিই বিএনপিকে ক্ষমতা দেবে না। বিএনপি মনে করে যে কেউ, অন্য কোথাও থেকে এসে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। এ জন্য তারা এজন্য আনন্দিত। এমনটা কেউ করবে না। তারা রকারের বিরুদ্ধে বিএনপিকে ব্যবহার করবে, কিন্তু ক্ষমতা দেবে না।’

বুধবার ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগই গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষা করেছে এবং দেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করেছে।

তিনি বলেন, ‘আজ আন্দোলন-সংগ্রাম হবে এবং আমরা ক্ষমতাচ্যুত হবো। এক দৃষ্টিকোণ থেকে এটা ভালো যে তারা (বিএনপি) যদি অগ্নিসংযোগ, সহিংসতা অবলম্বন করে এবং জনগণকে হত্যা করে তবে তারা মার্কিন ভিসা পাবে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে শক্তির তালে বিএনপি নাচে তারাই ধ্বংস করবে। আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের ভাবার কিছু নেই।’

তিনি বলেন, তারা কিছু লোক জোগাড় করে আন্দোলন করবে, করতে দাও। আমি বলে দিয়েছি, যত আন্দোলন করা করুক আমি কিছু বলবো না। নজর রাখতে হবে যে, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ বা তার পরবর্তী সময়ে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, মানুষ হত্যা করেছে মানুষকে পুড়ে মেরেছে, হাত পা কেটেছে, সেটা যেন করতে না পারে এবং মানুষ হত্যার পুনরাবৃত্তি যেন করতে না পারে। নিজের চোখ ক্যামেরা সবসময় ঠিক রাখতে হবে। কারণ ওদের ওই দোষ আছে তো, একটা উসকানি দিয়ে ছবি তুলে বাইরে দেশের দিকে তাকিয়ে কাঁদতে থাকবে। জনগণের ক্ষমতা তারা বিশ্বাস করে না। তারা মনে করে অন্যকেউ নাগরদোলায় এসে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে, কেউ বসিয়ে দেবে না। দেয় না কখনো… তারা বিএনপিকে ব্যবহার করবে, ক্ষমতা দেবে না। এগুলো বাস্তব কথা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে এই দেশ আমাদের। আমরা কাউকে এই দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। যতই স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক চাপ আসুক না কেন, বাঙালিরা এর কাছে মাথা নত করে না।’

তার দল জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরাই এ দেশে গণতন্ত্র এনেছি, আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। যেহেতু গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রয়েছে, বাংলাদেশ আজ অগ্রগতি এবং আর্থ-সামাজিক উন্নতির সাক্ষী হয়েছে।’

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি, দুর্ভাগ্য আমাদের, করোনাভাইরাস, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ তিনটা বছর সবকিছু বন্ধ ছিল, অর্থনীতির চাকা স্থবির ছিল, উন্নত দেশগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি, পরিবহন ব্যয় বেড়েছে, স্যাংশন পাল্টা স্যাংশনে প্রত্যকটা জিনিসের দাম বেড়ে গেল। এ জাহাজে এলো কেন? ওই জাহাজে এলো কেন এটা ভিড়তে দেবে না-ওটা ভিড়তে দেবে না, শুধু দেশের ওপর স্যাংশন নয়, জাহাজের ওপরেরও স্যাংশন দিয়ে বসে আছে আমেরিকা। ফলে প্রত্যেকটা দেশে আজকে মুদ্রাস্ফীতি।

তিনি বলেন, মানুষের কষ্ট হচ্ছে আমরা জানি, তারপরও আমরা বারবার চেষ্টা করছি মানুষের কষ্ট কীভাবে কমানো যায়। এই কষ্ট শুধু আমাদের একা না, সারা বিশ্বব্যাপী। বৈশ্বিক কারণেই কষ্ট। বাংলাদেশকে আমরা সুন্দরভাবে রেখেছিলাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১০-১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যুতের পরিস্থিতির উন্নতি হবে। অতিরিক্ত গরমে মানুষের কষ্ট বুঝতে পারছি আমরা।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শাহজাহান খান, সিমিন হোসেন রিমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।

সভাটি সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.