অর্থের জন্য হলে তো সৌদিতে যেতাম : মেসি
স্পোর্টসে ডেস্ক : ক্লাব ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ক্ষেত্রে অর্থের পরিমাণকে গুরুত্ব দেননি বলে দাবি করলেন লিওনেল মেসি। তার কাছে এখন বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে পরিবার ও নিজের মানসিক শান্তি। বিশ্বকাপ জয়ের পর এবং বার্সেলোনায় না যেতে পারার পর এখন ভিন্ন ঘরানার ফুটবলের স্বাদ নিতে ইন্টার মিয়ামিকে বেছে নিয়েছেন বলে জানালেন আর্জেন্টাইন এই মহাতারকা।
সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলাল থেকে অবিশ্বাস্য অঙ্কের প্রস্তাব আছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। ইন্টার মিয়ামির প্রস্তাব নিয়েও নানা তথ্য প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে। পারিশ্রমিকের অঙ্ক আল-হিলালের চেয়ে কম হলেও ক্লাবের স্পন্সরশিপ সত্ত্বের একটি অংশ, টিকিট বিক্রির অর্থের অংশ এবং ভবিষ্যতে ক্লাবের মালিকানার অংশ মিলিয়ে ইন্টার মিয়ামির প্রস্তাবও কম লোভনীয় নয়।
তবে স্প্যানিশ ক্রীড়া প্রত্রিকা মুন্দো দেপোর্তিভোর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মেসি বললেন, এই ধরনের কিছুর হাতছানি তাকে আকর্ষণ করেনি।
‘অর্থ আমার কাছে কখনোই এতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। বার্সেলোনার সঙ্গে এবার আলোচনায় তো চুক্তি নিয়ে কোনো কথাই বলিনি আমরা। তারা আমাকে একটি প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু কখনোই আনুষ্ঠানিক বা লিখিত ও স্বাক্ষর করা কোনো প্রস্তাব দেয়নি। পারিশ্রমিক নিয়ে দরা কষাকষি করিনি আমরা। অর্থ গুরুত্বপূর্ণ হলে তো সৌদি আরব বা অন্য কোথাও যেতাম, যেখানে তারা আমাকে অনেক অর্থ দিতে চেয়েছিল।’
মিয়ামিতে অনেক আগেই বাড়ি কিনে রেখেছেন মেসি, যেটি এতদিন ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। এই শহরে তার বন্ধু-বান্ধবও আছে বেশ। সৌদি আরবের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার ক্ষেত্রে মেসির পরিবারের চাওয়ার কথাও উঠে আসছে। তার স্ত্রী ও সন্তানরা সৌদি আরবের জীবনযাপনে থাকতে চাননি বলে নানা সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। মেসিও বললেন, ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে মানসিক প্রশান্তিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি।
‘একটি ইউরোপিয়ান ক্লাব থেকেও প্রস্তাব ছিল আমার। কিন্তু তা ভেবেও দেখিনি, কারণ ইউরোপে খেললে আমার ভাবনায় ছিল কেবলই বার্সেলোনা। জীবনের এমন একটি পর্যায়ে এসেছি, যখন পাদপ্রদীপের আলো থেকে একটু দূরে থাকতে চাই, পরিবারের কথা আরেকটু বেশি ভাবতে চাই।’