রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা নিয়ে মোংলায় চীনের জাহাজ
নিজস্ব প্রতিবেদক : ইন্দোনেশিয়া থেকে ছেড়ে আসা রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা নিয়ে চীনের পতাকাবাহী জাহাজ এম.ভি জে হ্যায় আজ ভোরে মোংলা বন্দরের হাড়বাড়ীয়ায় ভিড়েছে। কয়লা সংকটের কারণে পায়রা ও বাঁশখালী তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার দুঃসংবাদের মধ্যেই রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সুখবর নিয়ে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়ীয়ার ১১ নম্বর অ্যাংকোরেজে ভিড়েছে কয়লাবাহী জাহাজটি।
এদিকে সকাল থেকেই এ জাহাজটি হতে কয়লা খালাস ও পরিবহণের কাজ শুরু হয়েছে। জাহাজ থেকে খালাসকৃত এ কয়লা লাইটারেজে (নৌযান-কার্গো/কোস্টার) করে নেওয়া হচ্ছে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিজস্ব জেটিতে। তারপর তা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হচ্ছে কেন্দ্রটির গোডাউনে। এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে জাহাজটি বন্দরের ফেয়ারওয়েবয়া এলাকায় পৌঁছায়।
বিদেশি জাহাজ ‘জে হ্যায়’র স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং এন্ড লজিস্টিক লিমিটেডের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক জানান, আমদানিকৃত রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৬ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন জ্বালানি কয়লা নিয়ে চীনের পতাকাবাহী জাহাজ এম.ভি জে হ্যায় গত ২১ মে মোংলা বন্দরের উদ্দেশে ইন্দোনেশিয়া থেকে ছেড়ে আসে। ইন্দোনেশিয়া থেকে ছেড়ে আসার ১৯ দিনের মাথায় জাহাজটি শুক্রবার রাতে মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়ায় এসে পৌঁছায়। এরপর সেখান থেকে জাহাজটি শনিবার ভোর ৫টার দিকে বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়ীয়ার ১১ নম্বর অ্যাংকোরেজে ভিড়ে। জাহাজটি ভেড়ার সাথে সাথেই শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে কয়লা খালাস ও পরিবহণের কাজ। খালাসকৃত কয়লা নৌযানে করে নেওয়া হচ্ছে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে। জেটির নিজস্ব গ্রাস্পের (কামড়িকল) মাধ্যমে পরিবহণে (নৌযান/লাইটারেজ থেকে) কয়লা উত্তোলণ করে স্বয়ংক্রিয় বেল্টের মাধ্যমে তা সংরক্ষণ করা হচ্ছে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লার গোডাউনে।
এর আগে গত ১৬ মে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এম.ভি বসুন্ধরা ইমপ্রেসে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ও ২৯ মে এম.ভি বসুন্ধরা ম্যাজেস্টি জাহাজে ৩০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কয়লা এসেছিল মোংলা বন্দর হয়ে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে।