আজ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১১ জুন ২০২৩, রবিবার |

kidarkar

পাকিস্তানের হাইব্রিড মডেলেই এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : এশিয়া কাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে যেন আরেকটা ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ দেখে ফেলল ক্রিকেট বিশ্ব। পাকিস্তানে গিয়ে ভারতের খেলতে না চাওয়া এবং তার জবাবে ভারত বিশ্বকাপ বয়কটের হুমকিতে টানা অনেকদিন ধরেই অস্থিরতা লেগে ছিল। যার কারণে ভেস্তে যেতে বসেছিল এবারের এশিয়া কাপ। তবে অবশেষে পাকিস্তানের দেওয়া হাইব্রিড মডেলেই এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।  তাদের সেই প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)।

এর আগে ভারতের আপত্তি থাকায় তাদের ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজনের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে তাতেও বাংলাদেশ-ভারতসহ অন্য দেশগুলোর সমর্থন না থাকায় সেই প্রস্তাব ভেস্তে যায়। তবে এসিসি এবার তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। তবে আমিরাতে নয়, পাকিস্তানের সঙ্গে সহযোগী আয়োজক হিসেবে থাকছে শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের বাইরে এশিয়া কাপের বেশিরভাগ ম্যাচই লঙ্কানদের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে। ভারতীয় বার্তাসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) এই তথ্য জানিয়েছে।

শনিবার (১০ জুন) এক প্রতিবেদনে পিটিআই বলছে, পাকিস্তানের দেওয়া প্রস্তাব অনুসারে এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের প্রথম চারটি ম্যাচ তাদের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে। ভারত এবং টুর্নামেন্টের ফাইনালসহ বাকি ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যু শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তানে হওয়া গ্রুপ পর্বের এক ম্যাচে পাকিস্তান ও নেপাল মুখোমুখি হবে। এছাড়া শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানেরও একটি করে ম্যাচ হবে পাকিস্তানে।

আগামী মঙ্গলবার (১৩ জুন) এই বিষয়ে এসিসি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে। পাকিস্তানের এই প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে ভারতের মাটিতে হতে যাওয়া অক্টোবর-নভেম্বরের ওয়ানডে বিশ্বকাপে তাদের অংশগ্রহণে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর আগে তারা এশিয়া কাপ অন্য কোনো দেশে কিংবা তাদের ছাড়াই অনুষ্ঠিত হলে, বিশ্বকাপ বয়কটের হুমকি দিয়ে আসছিল পাকিস্তান।

এসিসির এক বোর্ড সদস্যের বরাত দিয়ে পিটিআই বলছে, ‌ পাকিস্তানের দেওয়া হাইব্রিড মডেলে কেউ সমর্থন না দেওয়ায়, ওমান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান ও এসিসির নির্বাহী সদস্য পঙ্কজ খিমজী একটি সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেছেন। সেই ধারবাহিকতায় পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে যে, ভারত ছাড়া পাকিস্তান-নেপাল, বাংলাদেশ-আফগানিস্তান, আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা এবং শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের মধ্যকার ম্যাচগুলো লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচ ছাড়াও সুপার ফোর রাউন্ডের ম্যাচগুলো হবে শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলে কিংবা গলে।

এর আগে বিসিসিআই সচিব জয় শাহ এবং এসিসির চেয়ারম্যান পাকিস্তানের প্রস্তাবিত মডেল অগ্রহণযোগ্য বলে জানিয়েছিলেন। পরবর্তীতে সেই বিষয়ে আইপিএলের ফাইনালের পর পাকিস্তান বাদে এশিয়া কাপের অন্য সদস্য দেশগুলোর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন জয় শাহ। যেখানে টুর্নামেন্টটির সবগুলো ম্যাচই একক ভেন্যু শ্রীলঙ্কায় আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু এখন সেই অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিয়েছে বিসিসিআই। পিটিআইয়ের প্রতিবেদন বলছে, বর্তমানে বিসিসিআই হাইব্রিড মডেল মেনে নিতে আগ্রহী।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.