বিনিয়োগকারীদের পুঁজি নেই ৪ হাজার কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক : চার দিন দরপতন আর একদিন উত্থানের মধ্যে দিয়ে জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ দেশের উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। আলোচিত সপ্তাহে দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। তাতে কমেছে লেনদেন ও সূচক।
সূচক কমায় বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন (পুঁজি) কমেছে ৪ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৬৮৮ কোটি ২৮ লাখ টাকায়। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৫২৯ কোটি ১৮ লাখ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন ৪ হাজার ১৫৯ কোটি ১০ লাখ কমেছে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে ৩ হাজার ৮৬৯ কোটি ৬১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের সপ্তাহে হয়েছিল ৫ হাজার ৪৪৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ১ হাজার ৫৭৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা কমেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৮০ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক .৯৬পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক .৪৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ১৮২ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯১ টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৪২ টির , কমেছে ১৪১ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৭ টির শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১০১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার। যার পরিমাণ আগের সপ্তাহে ছিল ৯৯ কোটি ২ লাখ টাকার। অর্থাৎ লেনদেন বেড়েছে ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার।
সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৬০ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১০ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩৫টির দর বেড়েছে, ১২৬টির দর কমেছে এবং ১৪৯ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।