আজ: বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২০ জুন ২০২৩, মঙ্গলবার |

kidarkar

সেন্ট্রাল হসপিটাল আমার নাম ব্যবহার করে অনিয়ম করেছে : ডা. সংযুক্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর গ্রিন রোডের সেন্ট্রাল হসপিটালে ভুল চিকিৎসা ও প্রতারণায় মাহবুবা রহমান আঁখি ও তার নবজাতকের মৃত্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. সংযুক্তা সাহা। তিনি বলেছেন, বিশ্বাস করেন, সেন্ট্রাল হসপিটাল আমার নাম ব্যবহার করে অনিয়ম করেছে। তারা এমন অনিয়ম করবে, আমি ভাবতেও পারিনি।

মঙ্গলবার (২০ জুন) রাজধানীর পরীবাগের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আঁখি আমার রোগী ছিলেন না। তিনি কুমিল্লার একটি স্থানীয় হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়েছেন। এ বছরের মার্চে তিনি দুই বার সেন্ট্রালে এসে আমাকে দেখিয়েছিলেন। নিয়মিত রোগী হতে হলে একজন গর্ভবতীর গর্ভাবস্থার শুরুতে প্রতি মাসে একবার এবং শেষের দিকে দুই সপ্তাহে একবার দেখাতে হয়। আঁখি আমার নিয়মিত রোগী ছিলেন না।

ডা. সংযুক্তা সাহা বলেন, আঁখি যখন হাসপাতালে, তখন আমি দেশে ছিলাম না। আমার টিকিট ও বোর্ডিং পাস আমার কাছে আছে। আমি ভিডিও কলেও অপারেশন মনিটর করিনি। সব মিথ্যা।

তিনি বলেন, আমি আঁখি এবং তার সন্তানের জন্য শোক প্রকাশ করছি। তাদের বিদেহী আত্মার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। নবজাতকের পিতা মো. ইয়াকুব আলী এবং তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। আমাদের সবার জন্যই এই অবহেলাজনিত মৃত্যু কাম্য নয়। আসুন আমরা এই সমস্যাটি এড়িয়ে না গিয়ে প্রকৃত দোষীকে খুঁজে বের করি।

ডা. সংযুক্তা বলেন, স্বার্থান্বেষী মহল প্রকৃত ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চাইছে এবং নিজেদের দোষ আড়াল করার জন্য সব রকম পন্থা অবলম্বন করছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করতে সদা ব্যস্ত আছেন। তাদেরকে খুঁজে বের করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, আমিও একজন সন্তানের মা, আমি একজন চিকিৎসক। আমি এদেশেরই লোক। দেশ এবং সমাজের প্রতি আমার যে দায়বদ্ধতা, সেখান থেকেই আমি মিডিয়ার সামনে সঠিক তথ্যটা তুলে ধরতে চাই।

এই চিকিৎসক বলেন, প্রকৃত ঘটনা বলতে গেলে সেন্ট্রাল হসপিটালের কথা বলতে হয়। এই হাসপাতালটিতে আমি ২০০৭ থেকে কনসালট্যান্ট হিসেবে কর্মরত আছি। সেন্ট্রাল হসপিটালে কোনো চিকিৎসকের অধীনে রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়মাবলী নেই। বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা প্রচলিত প্র্যাকটিসের ওপর নির্ভর করেই এই হসপিটালটি চলছে। কোনো চিকিৎসকের লিখিত সম্মতি না নিয়ে কোনো রোগী চিকিৎসকের অধীনে ভর্তি হয় না। কিন্তু প্রয়াত মাহবুবা রহমান আঁখিকে সেন্ট্রাল হসপিটাল ১০ জুন ভর্তির প্রাক্কালে আমার কাছ থেকে মৌখিক বা লিখিত কোনো ধরনের সম্মতি তারা গ্রহণ করেনি।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.