আইপিওর অর্থ অন্য খাতে ব্যয় করবে নাভানা ফার্মা
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে যে কথা বলে টাকা উত্তোলন করেছিল নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, সেই সিদ্ধান্ত পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কোম্পানির সর্বশেষ পর্ষদ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসার সময় কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ভবন নির্মাণ করা হবে। কিন্তু এখন টাকা পাওয়ার পর সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে কোম্পানির পর্ষদ। তারা সেই বরাদ্দের অর্থ ইউনিটের আধুনিকায়ন ও উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানোর কাজে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আইপিওর মধ্যে পুঁজিবাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা উত্তোলন করেছিল কোম্পানিটি। এর মধ্যে ২৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা নতুন জেনারেল প্রোডাকশন বিল্ডিং নির্মাণে ব্যয় করার কথা ছিল। কিন্তু ওই ভবন নির্মাণ না করে কিছু ইউনিটের আধুনিকায়ন ও উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানোর কাজে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।
নিয়ম অনুযায়ী, আইপিওর অর্থ ব্যবহারের পরিকল্পনা পরিবর্তন সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি নিতে হবে। সেই লক্ষ্যে আগামী ৩১ জুলাই কোম্পানির বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। সভায় পাশ হলে তারপর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন নিতে হবে।
পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এসভিপিও ফ্যাসিলিটিজের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণে ১৩ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। জেনারেল লিকুইড ফ্যাসিলিটিজের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণে ব্যয় করা হবে ৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আর এনিমেল হেলথ ফ্যাসিলিটিজের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণে ব্যয় করা হবে ৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
এর বাইরে পিডি ও কোয়ালিটি কন্ট্রোল ব্যবস্থার আধুনিকায়নে কোম্পানির নিজস্ব তহবিল থেকে ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
আইপিওর অর্থে ভবন নির্মাণ না করার যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, কোম্পানির বিভিন্ন ওষুধের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। ভবন নির্মাণের পর ওষুধ উৎপাদনে যেতে বেশ সময় লাগবে। এই বাস্তবতায় নতুন ভবন নির্মাণ না করে বিদ্যমান ফ্যাসিলিটিজগুলো সম্প্রসারণ লাভজনক হবে।