‘তারা’র ষষ্ঠ বার্ষিকী উদযাপন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্র্যাক ব্যাংক নারীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ ব্যাংকিং সলিউশন্স ‘তারা’ চালুর ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে। নারীদের আর্থিক ও জীবনযাত্রার প্রয়োজন এবং ব্যবসায়ের জন্য ব্যাংকিং চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশে প্রথম বিশেষায়িত ব্যাংকিং সেবা ‘তারা’ চালু করে।
‘তারা’র ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ব্র্যাক ব্যাংক ২২ জুন ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে রিটেইল ব্যাংকিংয়ের ২৪ জন এবং এসএমই ব্যাংকিংয়ের ২২ জন সেরা পারফর্মারদেরকে মর্যাদাপূর্ণ ‘তারা বিজনেস চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর. এফ. হোসেন এই অ্যাওয়ার্ড হস্তান্তর করেন।
বাংলাদেশে নারীদের জন্য ব্যাংকিং সেবায় পরিবর্তনের সূচনা করে ‘তারা’। গ্রাহককেন্দ্রিক এই সেবাটি নারীদের জীবন উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। অর্থনৈতিক, পেশা, ব্যবসা ও জীবনের স্বপ্নপূরণের অগ্রযাত্রায় নারীদেরকে চালকের আসনে বসাতে সহায়তা করছে ‘তারা’।
এই ছয় বছরে ‘তারা’ তিন লাখের বেশি নারীর সম্ভাবনা বাস্তবায়নে নির্ভরযোগ্য পার্টনার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। কর্পোরেট প্রফেশনাল বা ব্যবসায়ের স্বত্বাধিকারী, গৃহিণী, ছাত্রী বা প্রবীণ নাগরিক – সমাজের সর্বস্তরের নারীর জন্য ব্যাংকিং সেবার সুবিধা দিচ্ছে ‘তারা’।
ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) অ্যান্ড সিএফও এম. মাসুদ রানা এফসিএ, ডিএমডি অ্যান্ড সিওও মো: সাব্বির হোসেন, ডিএমডি অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন, হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো: মাহীয়ুল ইসলাম, হেড অব ব্রাঞ্চেস শেখ মোহাম্মদ আশফাক, হেড অব উইমেন ব্যাংকিং সেগমেন্ট ‘তারা’ অ্যান্ড ‘আগামী’ স্টুডেন্ট ব্যাংকিং সার্ভিস মেহরুবা রেজা, নারী উদ্যোক্তা সেলের প্রধান খাদিজা মারিয়ম এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
‘তারা’ চালুর ষষ্ঠ বার্ষিকী উপলক্ষে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, “‘তারা’ বাংলাদেশের নারীদের জীবনের অংশে পরিণত হয়েছে। নারীরা যেভাবে ব্যাংকিং করেন, যেভাবে অর্থ ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করেন এবং জীবনের লক্ষ্যপূরণ করেন, তা আমূল পরিবর্তন করেছে ‘তারা’। এটি নারীদের সঠিক অর্থায়ন পরিকল্পনা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন ও জীবনের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করছে।”
তিনি আরও বলেন, “‘তারা’কেবল একটি ব্যাংকিং সলিউশন্স নয়, এটি নারীর অমিত সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার একটি কার্যকর সমাধান। আরও যে কারণে ‘তারা’র ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে এর সহায়ক ভূমিকা পালন। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনের এ পথচলায় আমাদের সাথে থাকার জন্য আমাদের গ্রাহকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
‘তারা’ সুবিধাজনক সঞ্চয়ী হিসাব, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য চলতি হিসাব, অগ্রাধিকার হারে ক্রেডিট কার্ড, বিজনেস লোন, হোম লোন, পার্সোনাল লোন, ডিসকাউন্টেড প্রোসেসিং ফিসহ বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে।
‘তারা’ নারীদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হতে সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম সক্রিয়ভাবে পরিচালনা করছে। ‘তারা’ উদ্যোগে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সহায়তায় আয়োজিত ‘উদ্যোক্তা ১০১’, পার্বত্য অঞ্চলের উদ্যোক্তা নারীদের প্রশিক্ষণ, এসএমই ফাউন্ডেশনের সাথে পার্টনারশিপ ও ব্যবসন কলেজ-এফএমও এর মত কর্মদক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণগুলো নারীদের উদ্যোক্তা হবার স্বপ্নপূরণ করছে। নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম নারীদের এগিয়ে যেতে ও জীবনে সফলতা অর্জনে সাহায্য করছে।
ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ মুহূর্তে ‘তারা’ গ্রাহকদের সঙ্গে গৌরবময় অর্জনগুলো শেয়ার করতে চায়। গ্রাহকদের আস্থার কারণেই ‘তারা’ আজ এ সুউচ্চ অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে। ফাইন্যান্সিয়াল অ্যালায়েন্স ফর উইমেনের চ্যাম্পিয়নিং দ্যা ফিমেল ইকোনমি অ্যাওয়ার্ডস ২০২২ এর ডাটা চ্যাম্পিয়ন এবং গ্লোবাল এসএমই ফাইন্যান্স ফোরামের ‘বেস্ট ব্যাংক ফর উইমেন এন্ট্রপ্রেনরস’, এবং নারীদের ক্ষমতায়ন ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে অবদানের জন্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস-আইএফসি’র স্বীকৃতি ‘তারা’-কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।