আজ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৫ জুলাই ২০২৩, বুধবার |

kidarkar

সমুদ্রের ঢেউ কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : সমুদ্রের ঢেউকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য অ্যাকোয়াস্টিক ডপলার কারেন্ট প্রোফাইলার (এডিসিপি) যন্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বুধবার (৫ জুলাই) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

ব্লু ইকোনমির অপার সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য বর্তমান সরকার নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট সমুদ্রের ঢেউকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য অ্যাকোয়াস্টিক ডপলার কারেন্ট প্রোফাইলার (এডিসিপি) যন্ত্র সংগ্রহ করেছে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে টেকনাফ থেকে চট্টগ্রাম সংলগ্ন সমুদ্র এলাকার স্রোত ও ঢেউ নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম ম্যাপিং করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সামুদ্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট ২০১৮ সাল থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকার সামুদ্রিক পরিবেশ তথা ওয়াটার কোয়ালিটি, সেডিমেন্ট প্রবাহ, পানির তাপমাত্রা, চাপ, লবণাক্ততা, নিউট্রিয়েন্ট, ক্লোরোফিল, ডিজলভ অক্সিজেন, সিওডি, বিওডি, টার্নিডিটি, এসিডিফিকেশন ইত্যাদি ডাটা নিয়মিত সংগ্রহ করছে। ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে কুতুবদিয়া পর্যন্তপ্রায় ৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার উপকূলীয় সমুদ্র এলাকার কার্বন পরিমাপ এবং নাফ মোহনা, রেজু খাল মোহনা ও মহেশখালী চ্যানেলের মোহনা অঞ্চলের ম্যানগ্রোভ এলাকায় কার্বন স্টক পরিমাপ করেছে।

এছাড়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট সমুদ্রে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি নির্ণয়ের জন্য ২০১৮ সাল থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে শুরু করে ফেনী পর্যন্ত উপকূল এলাকা এবং সুন্দরবন এলাকার সমুদ্রের মাইক্রোপ্লাস্টিক স্টাডি করেছে এবং এ সংক্রান্ত মানচিত্র তৈরি করছে।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরে পূর্ব ও পশ্চিম জোনের কোস্টাল ও নিয়ারসোর এলাকার সব ফিজিক্যাল প্যারামিটার (যেমন: ওয়েভ ডাটা, টাইড ডাটা, কারেন্ট ডাটাসহ অন্যান্য তাপমাত্রা, চাপ, লবণাক্ততা, গভীরতা ইত্যাদি) নির্ণয় গবেষণা কার্যক্রম চলছে এবং এরই মধ্যে ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এছাড়াও নৌবাহিনী দেশের সমুদ্র সীমানায় বিদেশি ট্রলার/জাহাজের অবৈধ প্রবেশ রোধ, মাছ ধরা বন্ধ করা, চোরাচালান ও মানবপাচার রোধে কাজ করে চলেছে।

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.