আজ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৮ জুলাই ২০২৩, শনিবার |

kidarkar

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। চাহিদা বেড়ে যাওয়া এবং বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেলের মজুদ কমে যাওয়াই দাম বাড়ার প্রধান কারণ। দেশটিতে সুদহার বাড়ানোর আশঙ্কা থাকার পরও শক্তিশালী অবস্থানে ছিল চাহিদাসূচক। খবর রয়টার্স।

ভবিষ্যৎ সরবরাহ বাজারে ব্রেন্টের দাম ৩৬ সেন্ট বা দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৭৬ ডলার ৮৮ সেন্টে। মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট জ্বালানি তেলের দাম ৩৫ সেন্ট বা দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল ৭২ ডলার ১৫ সেন্টে দাঁড়িয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই বেঞ্চমার্ক ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে। ব্রেন্টের ছয় মাসের পশ্চাৎপদতা সরবরাহ সংকোচনের ইঙ্গিত দেয়। তবে সাম্প্রতিক মৌসুমগুলোয় ব্যাপক বেড়েছে।

এখনো ব্রেন্ট এপ্রিলের বিক্রির তুলনায় প্রতি ব্যারেল ১০ ডলার কমে বিক্রি হচ্ছে। মে মাস থেকেই মূল্যসূচক রয়েছে ৭১-৭৯ ডলারের মাঝামাঝি। সুদহার বাড়ানো ও চীনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে দুর্বলতা পালন করেছে প্রধান অনুঘটকের ভূমিকা। বৃহস্পতিবার এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কমেছে এবং পেট্রল ইনভেন্টরিগুলোর বড় ধরনের দরপতন হয়েছে।

শীর্ষ তেল রফতানিকারক সৌদি আরব ও রাশিয়াও চলতি সপ্তাহে নতুন করে উৎপাদন কমিয়ে আনার ঘোষণা দেয়। ওপেক ও তার মিত্র দেশগুলো প্রতিদিন প্রায় ৫০ লাখ ব্যারেল (বিপিডি) কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের চাহিদার ৫ শতাংশের সমান। ওপেকের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, আগামী বছরের জন্য জ্বালানি তেলের চাহিদা বৃদ্ধির বিষয়ে ওপেক আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখবে। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের ২৫-২৬ জুলাইয়ের বৈঠকে সুদহার বাড়াতে পারে, এমন আশঙ্কায় জ্বালানি তেলের উৎপাদন সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। ফলে সিদ্ধান্তটি প্রবৃদ্ধি ও একইভাবে জ্বালনি তেলের চাহিদাকে প্রভাবিত করতে পারে।

এদিকে ভেনিজুয়েলা তেল রফতানি জুনে ৮ শতাংশ বেড়ে প্রতিদিন সাত লাখ ব্যারেলে দাঁড়িয়েছে। গতি পেয়েছে জ্বালানি তেল পরিশোধন ইউনিট ও সরবরাহ বাজারে। জুনে ভেনিজুয়েলা থেকে ৩৭টি কার্গো ছেড়ে গেছে। তাদের মধ্যে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ছাড়াও ছিল পরিশোধিত পণ্য ও অন্যান্য উপজাত। ভেনিজুয়েলায় উৎপাদিত তেলের প্রধান গন্তব্য ছিল চীন ও ইরান। মে মাসে শেভরনের রফতানি ছিল প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল, যা জুনে নেমে এসেছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ব্যারেলে। চলতি বছরে প্রথমার্ধে ভেনিজুয়েলার তেল রফতানি প্রতিদিন গড় ছিল ৬ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল। ২০২২ সালের প্রথমার্ধের তুলনায় যা ১৫ শতাংশ বেশি।

কমার্জব্যাংকের বিশ্লেষণে দাবি করা হয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত সুদহার বৃদ্ধি ও চীনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার গতি ধীর থাকবে, ততক্ষণ জ্বালানি তেলের বাজারে শঙ্কা বিদ্যমান থাকবে। বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মূল্যস্ফীতির দিকে তাকিয়ে রয়েছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.