আইসিসির টুর্নামেন্টে নারী-পুরুষের সমান প্রাইজমানি
স্পোর্টস ডেস্ক: বৈষম্য দূর করতে দুর্দান্ত এক উদ্যোগ নিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ডারবানে বার্ষিক সভা শেষে আইসিসির টুর্নামেন্টে নারী ও পুরুষ দলের সমপরিমাণ প্রাইজমানি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
চলতি বছরের শুরুর দিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া নারী দল। ২০ ওভারের ক্রিকেটে আইসিসির শিরোপা জিতে অ্যালিসা হিলি, বেথ মুনি, অ্যালিস পেরিরা প্রাইজমানি হিসেবে পেয়েছিলেন ১ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১০ কোটি ৮৭ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা)।
বিপরীতে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা জস বাটলারের ইংল্যান্ড পেয়েছিল ১.৬ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৭ লাখ ৩৯ হাজার ৯২ হাজার ৮০০ টাকা)। নারী ও পুরুষ দলের মাঝে বৈষম্য কমিয়ে আনতেই সমপরিমাণ প্রাইমানি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। তাতে করে বিশ্বকাপ জয়ী, রানার্স আপ হওয়া, সেমিফাইনাল খেলা দল, টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করা দল এবং প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য ছেলেরা যে পরিমাণ টাকা পান মেয়েরাও তাই পাবেন। শুধু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই নয়, ওয়ানডে বিশ্বকাপ, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম বহাল থাকবে।
২০১৭ সাল থেকে প্রতিটি ইভেন্টেই প্রাইজমানি বাড়ানোর চেষ্টা করেছে আইসিসি। বৈষম্য দূর করতেই এমনটা করা হয়েছিল বলে জানান আইসিসির চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে। তিনি বলেন, ‘আমাদের খেলার জন্য এটা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমি এটা ভেবে খুশি যে এখন থেকে আইসিসির প্রতিযোগিতায় খেলা নারী ও পুরুষ দল সমানভাবে পুরস্কৃত হবে। ২০১৭ সাল থেকে আমরা মেয়েদের প্রতিটি ইভেন্টে প্রতি বভর প্রাইজমানি বাড়িয়েছি। সমপরিমাণ প্রাইজমানি করার জন্য আমাদের পরিস্কার লক্ষ্য ছিল। আমরা এখন সেখানে দাঁড়িয়ে যে মেয়েদের বিশ্বকাপ ছেলেদের বিশ্বকাপের সমান প্রাইজমানি পাবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও একই থাকবে।’
আইসিসির আগে নারী ও পুরুষ ক্রিকেটারদের বৈষম্য দূর করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। এখন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাদের মতো স্মৃতি মান্ধানা-হারমানপ্রীত কৌররা একই পরিমাণ ম্যাচ ফি পান। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একই বেতন পেয়ে থাকেন কেন উইলিয়ামসন-অ্যামেলিয়া কেররা।