আজ: মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং, ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৪ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার |

kidarkar

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি ১৫ হাজার পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক: কুড়িগ্রামের দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানি বেড়েই চলছে। গত কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুধকুমার নদের পানি ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলার পানি ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এখনো বিপৎসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এসব নদ-নদীর পানিও বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।

পানি বাড়ার কারণে নদ-নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন সড়ক। অন্য দিকে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে দুধকুমার নদের বাঁধ উপচে প্রায় ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের সিতাইঝাড় এলাকার আইয়ুব আলী বলেন, হঠাৎ করে পানি বাড়ার কারণে বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। বাড়িতে থাকার মত পরিবেশ নাই। উঁচু স্থানে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি। ভাবতেও পারিনি একরাতেই এতো পানি বাড়বে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার, ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার ও তালুকশিমুল বাড়ি পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদ-নদীর পানি আরও কিছুটা বাড়তে পারে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, চিলমারী, উলিপুর, সদর, নাগেশ্বরী, রাজারহাট ও ভুরুঙ্গামারীসহ বন্যায় যেসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে এসব এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম আজ থেকে শুরু হয়েছে। আজ ৬শ পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.