আজ: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২২ জুলাই ২০২৩, শনিবার |

kidarkar

ক্লিন এনার্জি থেকে ৪০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে : নসরুল হামিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল করায় প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ চলে গেছে জানিয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, এই সাহসী পদক্ষেপ সবুজ এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানির প্রতি আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিচ্ছবি। একটি ঘনবসতিপূর্ণ জাতি হিসেবে আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প বাস্তবায়নে অনন্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের ধরন অনেক উন্নত দেশ থেকে আলাদা এবং সৌর শক্তিকে বেস লোড পাওয়ার হিসেবে ব্যবহারের জন্য এখনো তৈরি নই। সৌর প্রকল্পের জন্য জমির অভাব একটি বড় বাধা। এই চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করতে প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং গবেষণা প্রয়োজন। নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষ করে বর্জ্য থেকে জ্বালানি এবং বায়ু বিদ্যুতে ব্যাপক বিনিয়োগ প্রয়োজন। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগকে আমরা স্বাগত জানাবো।

শনিবার (২২ জুলাই) ভারতের গোয়াতে জি-২০ উপলক্ষ্যে “এনার্জি ট্রানজিশন মিনিস্টারিয়াল মিটিং”-এ বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জ্বালানি বৈচিত্র্য, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন কৌশল গ্রহণ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে কাজ করছে সরকার। ২০৪১ সালের মধ্যে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি থেকে ৪০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগুচ্ছি।

নসরুল হামিদ বলেন, নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ১১৯৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও ৮২৫.২৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গ্রিডে আসে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৩০টি প্রকল্পের মাধ্যমে আরও ১২৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প চলমান এবং ৮৬৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। অর্থাৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৯৯৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন পাইপ লাইনে রয়েছে।

তিনি বলেন, ৬ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে অফ-গ্রিড এলাকায় বসবাসরত ২ কোটি লোককে আলোকিত করা হচ্ছে। সোলার মিনিগ্রিডের মাধ্যমে অফ-গ্রিড এলাকায় গ্রিডের মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে। দেশে ৭টি সোলার পার্ক করা হয়েছে। আমাদের প্রায় ১ লাখ বায়ু গ্যাস প্লান্ট রয়েছে। ন্যাশনাল রিনিউয়াল এনার্জি ল্যাবরেটরির (এনআরইএল) সহযোগিতায় বাংলাদেশে উইন্ড রিসোর্স ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। ৫টি প্রকল্পের মাধ্যমে ২৪৫ মেগাওয়াট বায়ু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নেপাল ও ভুটান থেকে জল-বিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়াও সামান তালে চলছে। সমন্বিত জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনাতেও নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। এখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি (সৌর, বায়ু এবং হাইড্রো ইত্যাদি), পারমাণবিক, বিদ্যুৎ আমদানি (হাইড্রো), হাইড্রোজেন, অ্যামোনিয়া, সিসিএস (কার্বন ডাই-অক্সাইড) ক্যাপচার এবং কম্বাইন্ড সাইক্যাল পাওয়ার প্ল্যান্ট নিয়ে পরিকল্পনা সন্নিবেশিত রয়েছে।

অনুষ্ঠানে ভারতের বিদ্যুৎ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রী আর কে সিং, ব্রাজিলের খনি ও জ্বালানি মন্ত্রী আলেকজান্দ্রে সিলভেরা ডি অলিভেরা, ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী আরিফিন তাসরিফ, কপ-২৮ এর সভাপতি (মনোনীত) ড. সুলতান আল জাবের, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী ড. প্রমোদ সায়ান্তসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা বক্তব্য রাখেন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.