আজ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৪ জুলাই ২০২৩, সোমবার |

kidarkar

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ চিকিৎসা সেবা দেওয়া বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কে-৮০ ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের কাজ নয়, আমাদের কাজ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ জনগণকে অবহিত করা।

মানুষের জ্বর বিভিন্ন কারণে হতে পারে, আমরা বলেছি জ্বর হলে দ্রুত পরীক্ষা করাতে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমরা সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি ৫০ টাকা করে দিয়েছি। আমরা দেখছি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগীর সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের মূল কথা হলো ডেঙ্গু মশা কমাতে হবে, তাহলে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমে যাবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে শুধু বর্ষা মৌসুমে নয়, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ও বিভিন্ন পৌরসভায় মশা নিধনের কাজটি সারা বছর করতে হবে।

অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের ধর্মঘট বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেন কী কারণে তারা ধর্মঘট ডেকেছে সে বিষয়টি আমার জানা নেই, তাই আমি ভালো কিছু বলতে পারব না। দেশে একটি সমস্যা চলছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বাড়ছে। এখন সময় নয় ধর্মঘট করার। মানুষের সেবা, জীবন রক্ষা এবং চিকিৎসা সেবার এখন প্রয়োজন। সেটি বন্ধ করে দিয়ে আমরা ধর্মঘটে চলে গেলাম। এটি আমি সঠিকভাবে নিতে পারছি না। তারপরেও তাদের কী সমস্যা আছে, সেই সমস্যার যেন সমাধান হয় সেটি আমরা করার চেষ্টা করব এবং লক্ষ্য রাখব।

নতুন ভর্তি হওয়া এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে যারা নতুন এমবিবিএসে ভর্তি হয়েছে আমি তাদেরকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই। আমি ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলাম, কিন্তু এখানে ভর্তি হতে পারিনি। এখান থেকে যারা চিকিৎসক হয়ে বেরিয়ে যাবে তাদের ঢাকা মেডিকেলের সুনাম ধরে রাখতে হবে। এই সুনাম ধরে রাখার একমাত্র পন্থা হলো এখান থেকে ভালোভাবে শিক্ষা লাভ করা এবং এখান থেকে পাস করে বেরিয়ে যাওয়া।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শফিকুল আলম চৌধুরী, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব ডাক্তার মো. কামরুল হাসানসহ অন্যান্য চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.