আজ: শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪ইং, ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০১ অগাস্ট ২০২৩, মঙ্গলবার |

kidarkar

এবার জামায়াতের রাজনীতির পক্ষে ৪৭ জনের আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক: জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন সংক্রান্ত লিভ টু আপিল মামলায় বক্তব্য দিতে সাবেক এমপি, শিক্ষাবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ দলটির পক্ষ থেকে ৪৭ ব্যক্তি আবেদন করেছেন।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।

এর আগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমানার অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে করা আবেদনের আইনি লড়াইয়ে যুক্ত হতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে করা ওই আবেদনের পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য আর্জি জানান দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক।

গত ২৭ জুলাই ওই আবেদনে সই করেন- অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শ্যামলী নাসরিন, শাহরিয়ার কবির, শাওন মাহমুদ, রফিকুন্নবী, মাহফুজা খানম, আবুল হাশেম, তানভীর মোকাম্মেলসহ ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক।

তারা জামায়াতের নিবন্ধন সংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মিছিল-সমাবেশসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে দলটির নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদনের পক্ষভুক্ত হতে চান।

গত ২৬ জুন উচ্চ আদালতের রায়ে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পর রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে নিবন্ধন ফিরে পেতে দাবি করায় জামায়াতের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করা হয়। একই সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ কয়েকজন পৃথক দুটি রিট আবেদন করেন।

এক দশকেরও বেশি সময় পর পুলিশের মৌখিক অনুমতি নিয়ে গত ১০ জুন রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমাবেশ করে জামায়াত। সমাবেশে জামায়াত নেতারা দলের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়া ও দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান।

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নেই। মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দলটির শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এমনকি সংগঠন হিসেবেও জামায়াতকে এ অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়ে থাকে। এছাড়া সরকারবিরোধী আন্দোলনে জ্বালাও-পোড়াও ও নাশকতাসহ সার্বিক প্রেক্ষাপটে ২০১৩ সাল থেকে জামায়াতের স্বাভাবিক কার্যক্রম দেখা যাচ্ছিল না।

গত ১০ জুনের আগে পুলিশের অনুমতি নিয়ে দলটি রাজধানীতে সর্বশেষ বিক্ষোভ মিছিল করে ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন মতিঝিলে কর্মসূচিটি পালন করে তারা।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.