বঙ্গবন্ধুর দুই খুনিকে দেশে আনার চেষ্টা : আইনমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুলের লেখা ‘পনেরো আগস্টের নেপথ্য কুশীলব’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর দুই খুনির মধ্যে এ এম রাশেদ চৌধুরী আমেরিকায় অবস্থান করছে। এস এম বি নুর আছে কানাডায়। তাদের আনার চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। কানাডা যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে সেটা আমরা উত্তরণের চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, আমরা কানাডিয়ান সরকারকে অনুধাবন করানোর চেষ্টা করছি। একটা স্টেজে গিয়ে আমরা বলব, আমাদের যে এতো দিনের বন্ধুত্ব, সেই বন্ধুত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে, যদি তাকে ফেরত না দেওয়া হয়। অন্যদিকে রাশেদ চৌধুরী সম্পর্কে এতোটুকু বলতে পারি, আমরা আলোচনা করছি। আপাতত এর থেকে বেশি আর কিছু বলতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারের আরও দুই তিনটা তাৎপর্য আছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার না হওয়ার কারণে মানুষের মধ্যে একটা ধারণা ছিল যে, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারই হয় না, সেখানে আমাকে কেউ খুন করলে সেটার তো বিচার হবেই না। এটা মনস্তাত্ত্বিকভাবে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছিল। এখন কিন্তু সেই জায়গা থেকে উঠে এসেছে। এটি দেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল।
বঙ্গবন্ধু গবেষক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ১৯ শতকে জার্মান ইতিহাসবিদ পল র্যাঙ্ক বলেছিলেন, ইতিহাস হচ্ছে নগ্ন সত্য। মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলকে আমি ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি কারণ তিনি এই বইয়ে ইতিহাসের নগ্ন সত্য তুলে ধরেছেন। কোন দল বা গুষ্ঠির মতো নয়। অত্যন্ত তথ্যনিষ্ঠ এই বইটিকে আমি আকর গ্রন্থ হিসেবে মনে করছি। আগস্ট মাস শুধুমাত্র আমাদের শোকের মাস নয়, এটি পুরো বিশ্বের জন্য শোকের মাস। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে সেদিন স্বজন পরিজনসহ সর্বমোট ১৯ জন হত্যার শিকার হয়েছেন। ক্ষণিকের বিচার হয়েছে তবে তার রায় অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর উত্তম রফিকুল ইসলাম, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ প্রমুখ।