নাইজারে ক্ষমতা ছাড়বে না সেনাবাহিনী, সংঘাত
তবে প্রধান অভ্যুত্থানকারী সেনা কর্মকর্তা জেনারেল আব্দররহমান চিয়ানি এসব হুমকি-ধামকি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, মোহাম্মদ বাজোমকে প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্স্থাপন করা হবে না।
আর তার এমন ঘোষণার পর নাইজারে অবস্থিত নিজেদের দূতাবাস থেকে কিছু কর্মীকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে জেনারেল চিয়ানি বলেছেন, ‘সেনাবাহিনী এসব নিষেধাজ্ঞা এবং হুমকি-ধামকিকে প্রত্যাখ্যান করে, যেখান থেকেই এসব হুমকি আসুক। নাইজারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যে কোনো হস্তক্ষেপ আমরা প্রত্যাখ্যান করি।’
নাইজারের জান্তা ক্ষমতা ছাড়তে অপরাগতা প্রকাশ করায়, দেশটিতে ১৫ দেশের জোট ইকোয়াসের সম্মিলিত সামরিক হামলার ঝুঁকি আরও বেড়েছে। সংস্থাটি ঘোষণা দিয়েছে, আফ্রিকায় আর কোনো অভ্যুত্থান মেনে নেওয়া হবে না। ফলে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে তারা সামকির পদক্ষেপসহ সবকিছু করবে।
যদিও ইকোয়াস জানিয়েছে সামরিক হামলা তাদের সর্বশেষ পদক্ষেপ। ইকোয়াসের রাজনৈতিক বিষয়ক কমিশনার আব্দেল-ফাতাউ মুসাহ বলেছেন, ‘সামরিক পদক্ষেপ টেবিলের সর্বশেষ পদক্ষেপ, কিন্তু আমাদের এ নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের দেখাতে হবে আমরা শুধু উচ্চবাচ্য নয়, বাস্তবেও সবকিছু করতে পারি।’
এদিকে নাইজারে ফ্রান্সসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশের সেনাবাহিনীর সদস্যদের অবস্থান রয়েছে। বিশেষ করে ফ্রান্সের বিশাল ঘাঁটি রয়েছে দেশটিতে। নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে সেনা মোতায়েন করে রেখেছিল ফ্রান্স। তবে গত বছর মালিতে অভ্যুত্থানের পর ফরাসি সেনাদের সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর সেসব সেনা যায় নাইজারে।
এখন নাইজারেও সামরিক অভ্যুত্থান হওয়ায় আফ্রিকায় তাদের সেনাদের অবস্থান হুমকির মুখে পড়ে গেছে। আর তাই এখন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোকে নিয়ে এ অভ্যুত্থান ব্যর্থ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে ফ্রান্স। আর পশ্চিমাদের ইঙ্গিতেই ইকোয়াস নাইজারে সামরিক হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত পর্যন্ত নিচ্ছে।