ভিভো ওয়াই২৭: চমৎকার আউটলুক ও সুপার ফাস্ট চার্জিং
নিজস্ব প্রতিবেদক: এলিট ডুয়েল রিং ডিজাইন, স্মার্ট আউটলুক, ৪৪ ওয়াটের সুপার ফাস্ট চার্জিং এবং ৬.৬৪ ইঞ্চি ফুল এইচডিপ্লাস সান লাইট ডিসপ্লে নিয়ে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে ভিভো ওয়াই২৭। চলছে প্রি-বুকিং। রুচিশীল রঙ, চমৎকার ডিজাইনের ভিভো ওয়াই২৭ পাওয়া যাচ্ছে বারগেন্ডি ব্ল্যাক এবং সি ব্লু নামক দুইটি সুন্দর কালারে। ব্যাক সাইডের ক্যামেরা মডিউলে চোখে পড়বে ভিন্নতা। নেই বক্স আকারের আলাদা ক্যামেরা সেগমেন্ট। এর পরিবর্তে নজর কাড়বে ক্যামেরা বাইরে সোনালি রিং। ডুয়েল ক্যামেরা মডিউল ডিজাইনের সোনালি রঙ বাড়িয়েছে স্মার্টফোনের সৌন্দর্য্য।
পাঁচ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারির চার্জে রয়েছে ৪৪ ওয়াটের টাইপ-সি ফ্লাশ চার্জার। একবার শতভাগ চার্জে টানা ১৬ ঘন্টার বেশি ভিডিও দেখা সম্ভব। সারা দিনের কাজে ব্যবহার করলেও এর চার্জ থাকবে প্রায় দেড় দিন পর্যন্ত। পাশাপাশি উন্নত চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করায় ভিভো ওয়াই২৭ শতভাগ চার্জ হবে মাত্র এক ঘন্টারও কম সময়ে।
২.৫ ডি কার্ভড ডিজাইনের স্কয়ার আকারের স্মার্টফোনটির বডি ডায়মেনশন ১৬৪.০৬ x ৭৬.১৭ x ৮.০৭ মিমি। ওজন মাত্র ১৯০ গ্রাম। যা বেশ লাইট গ্রিপ দেয়। ২৩৮৮ x ১০৮০ রেজুলেশনের ৬.৬৪ ইঞ্চি ফুল এইচডিপ্লাস সানলাইট ডিসপ্লে পাওয়া যাবে স্মার্টফোনটিতে। তাই রোদের আলোতেও ব্যবহার উপযোগী হবে ভিভো ওয়াই২৭ এর মাল্টিটাচ ক্যাপাসিটিভ ডিসপ্লে।
মিডিয়াটেক হেলিও জি৮৫ প্রসেসরের সাথে আপডেটেড ফানটাচ ওএস ১৩ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করায় বেশ স্মুথ অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে। বাড়বে কাজের গতি। অ্যাপ পরিবর্তন এবং অ্যাপ ডেটা সংরক্ষণ হবে সহজ। সাথে রয়েছে ৬ জিবি র্যাম। তাই স্টোরেজের চিন্তার অবসান হবে নিমিষেই। এক্সটেন্ডড র্যাম টেকনোলজি ৩.০ এর
জন্য চাইলেই আরো ৬ জিবি র্যাম বাড়িয়ে নেওয়া সুবিধা রয়েছে। পাশাপাশি ১২৮ জিবি রম ব্যবহার করা যাবে দুর্দান্ত ভিভো ওয়াই২৭।
৫০ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ক্লিয়ার ক্যামেরায় তোলা ছবি হবে জীবন্ত। টোনালিটি হবে অথেনটিক, ন্যাচারাল এবং এনার্জিটিক। রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা এবং ২ মেগাপিক্সেল বোকেহ। পাশাপাশি পোর্ট্রটে মোড, নাইট মোড, প্যারানোমা, লাইভ ছবি, স্লো-মোশন, টাইম ল্যাপস ইত্যাদি ফিচার তো থাকছেই। ভিভো ওয়াই২৭ এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ হাজার ৯৯৯ টাকা।
ভিভো একটি প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে। মানুষ আর ডিজিটাল ওইয়ার্ল্ডের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। অনন্য সৃজনশীলতার মাধ্যমে ভিভো ব্যবহারকারীদের হাতে যথোপযুক্ত স্মার্টফোন ও ডিজিটাল আনুষাঙ্গিক তুলে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধকে অনুসরণ করে ভিভো টেকসই উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করেছে; সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান হওয়াই যার ভিশন।
স্থানীয় মেধাবী কর্মীদের নিয়োগ ও উন্নয়নের মাধ্যমে শেনজেন, ডনগান, নানজিং, বেজিং, হংঝু, সাংহাই, জিয়ান, তাইপে, টোকিও এবং সান ডিয়াগো এই ১০টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে (আরএন্ডডি) কাজ করছে ভিভো। যা স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট কনজ্যুমার টেকনোলজির উন্নয়ন, ফাইভজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন, ফটোগ্রাফি এবং আসন্ন প্রযুক্তির ওপর কাজ করে যাচ্ছে। চীন, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভিভোর পাঁচটি প্রোডাকশন হাব আছে (ব্র্যান্ড অথোরাইজড ম্যানুফ্যাকচারিং সেন্টারসহ) যেখানে বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন বানানোর সামর্থ্য আছে। এখন পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি দেশে বিক্রয়ের নেটওয়ার্ক আছে ভিভোর এবং বিশ্বজুড়ে ৪০০ মিলিয়নের বেশি ভিভো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে।