অ্যাশেজ শেষেও তোপ থামেনি লায়নের
স্পোর্টস ডেস্ক: চলতি বছরের জমজমাট অ্যাশেজ সিরিজ কয়েকদিন আগেই শেষ হয়েছে। এবার ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকার পরও সিরিজ জিততে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। দারুণ লড়াইয়ে সিরিজ প্রায় ছিনিয়েই নিচ্ছিল বেন স্টোকসের ইংল্যান্ড। পুরো সিরিজজুড়ে তারা ৫’র অধিক গড়ে রান তুলেছিল। তবে অ্যাশেজ শেষেও তা নিয়ে ভিন্নমত অজি স্পিনার নাথান লায়নের। তিনি নাকি পুরো অ্যাশেজে ‘বাজবল’-এর প্রয়োগই দেখেননি!
তবে পুরো সিরিজে ছিলেন না এই ৩৫ বছর বয়সী অফ-স্পিনার। মাংসপেশির চোটে পড়ার আগে লায়ন প্রথম দুই টেস্টের একাদশে ছিলেন। দলকে জেতাতেও সহায়তা করছেন এই তারকা স্পিনার। লর্ডস টেস্টে চোটে পড়েও শেষ ব্যাটার হিসেবে খোঁড়াতে খোঁড়াতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৩ রানের জয়ে অবদান রেখেছিলেন তিনি। এই তারকা বলেছেন, ‘জানি প্রত্যেকে বাজবল নিয়ে কথা বলবেন। তবে সত্যি বলতে, আমি যে দুই টেস্ট খেলেছি তাতে বাজবল দেখিনি। বাজবলের বিপক্ষে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিলাম।’
এবার প্রথমবারের মতো অ্যাশেজেও বাজবল ক্রিকেট খেলেছিল স্টোকস ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ইংল্যান্ড। তবে লায়নের মতে, ইংল্যান্ড তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের ধারা ওঠা-নামা করিয়েছিল। বিপরীতে স্বদেশি ব্যাটাররাও একইভাবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছে বলে মনে করেন তিনি, ‘অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দল এবং আমাদের ব্যাটারদের দিকে তাকালেই বুঝতে পারব। ডেভিড ওয়ার্নারকে এক সেশনে সেঞ্চুরি করতে দেখেছি। সেটিও ছিল আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের ব্র্যান্ড।’
লায়ন একাদশে থাকা দুটি ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়া জয় পেয়েছিল। দুটি টেস্টই গড়িয়েছিল পঞ্চম দিনের শেষ বিকেল পর্যন্ত। পরবর্তী তিন ম্যাচে রোমাঞ্চ থাকলেও, সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ ছিল ইংলিশদের হাতে। চতুর্থ টেস্টে তাদের দাপট বেশি ছিল, কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেটি নিরুত্তাপ ড্র দিয়ে শেষ হয়। তবুও বাজবল নিয়ে ইংলিশদের যেন নতুন তোপে ফেলতে চাইলেন লায়ন, ‘আমি ভাবছি বাজবল নিয়ে নানা আলোচনা রয়েছে, তবে সত্যি বলতে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে চাইলে ম্যাচের পরিস্থিতি বিচারে খেলার আপ-ডাউন হতে পারে। যেটা সবাই খেলে থাকে।’
একইসঙ্গে ২০২৭ সালে ইংল্যান্ডের অ্যাশেজেও খেলার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন লায়ন, ‘খেলার ক্ষুধা সম্ভবত নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। আমি একটা বিষয় বলতে পারি যে, অ্যাশেজে ফেরা নিয়ে আমি কোনো মজা করছি না। সামনে আরও অনেক ক্রিকেট রয়েছে ইংল্যান্ডেও নিজের অ্যাশেজ এখনও খেলিনি।’