ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলাকে যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবরুদ্ধ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের গুলিতে ১৯ বছরের এক ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। খবর আল-জাজিরার।
গত শুক্রবার (৪ আগস্ট) পশ্চিম তীরের বুরকা এলাকায় একদল ইসরায়েলি দখলদার সশস্ত্র হামলায় চালালে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এসময় হামলাকারীদের গুলিতে কুসাই জামাল মাতান নামে এক কিশোর নিহত এবং আরও কয়েকজন আহত হন।
শনিবার এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল ইসরায়েলি চরমপন্থি বসতি স্থাপনকারীদের যে সন্ত্রাসী হামলায় ১৯ বছরের এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি, এ ঘটনায় দোষীদের সম্পূর্ণ জবাবদিহিতা ও বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাই।
যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত। ফলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে ‘সন্ত্রাসী হামলা’র মতো শব্দগুলো ব্যবহৃত হওয়ায় সন্দিহান হয়ে ওঠেন অনেকে।
তবে সোমবার মার্কিন দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিশ্চিত করেছেন, শনিবারের বিবৃতিতে উল্লেখিত শব্দগুলো ‘দুর্ঘটনাবশত’ ব্যবহার করা হয়নি।
সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, বিষয় হলো, এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা ছিল এবং এ বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। সে জন্যই আমরা ওই কথাগুলো বলেছি।
মিলার বলেন, আমরা এটিও স্পষ্ট করেছি, অপরাধী যেই হোক না কেন- হিংসাত্মক চরমপন্থার সব ক্ষেত্রেই সমান কঠোরতার সঙ্গে জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার অনুসরণ করা উচিত।
বুরকায় শুক্রবারের ওই হামলার পর দুই বসতি স্থাপনকারীকে আটক করেছে ইসরায়েল। এটিকে ‘সঠিক পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র।
অবশ্য মঙ্গলবার সন্দেহভাজন দুই অপরাধীকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেরুজালেম জেলা আদালত। রায়ে বলা হয়েছে, দুজনের একজন গৃহবন্দি থাকবেন এবং আরেকজনকে হাসপাতালে রাখতে হবে। হাসপাতালে ওই ব্যক্তিকে মাথায় আঘাতের জন্য চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ইসরায়েলি মিডিয়া জানিয়েছে, দুই সন্দেহভাজনের মধ্যে একজন ছিলেন কট্টর ডানপন্থি জিউয়িশ পাওয়ার পার্টির একজন আইনপ্রণেতার সাবেক সহযোগী। দলটির নেতা ইতামার বেন-জিভির বর্তমানে ইসরায়েলের জননিরাপত্তা মন্ত্রী।