জনগণকে বিশ্বাস করতে হবে ইসির কেউ চাপে নেই : ইসি রাশেদা

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, দেশের জনগণকে বিশ্বাস করতে হবে নির্বাচন কমিশনের কেউই কোনো দিক থেকে চাপে নেই। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা আনার বিষয়টিও বিএনপিকে মাথায় আনতে হবে।
রোববার (২০ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
ইসি রাশেদা বলেন, আমরা এতগুলো ভোট করেছি, আমরা কোনো চাপ অনুভব করিনি। এখনও আমাদের মাথায় কোনো চাপ নেই। কিন্তু বাইরে থেকে মানুষ ধারণা করতে পারে এরকম-ওরকম চাপ রয়েছে। সত্যিকার অর্থে কোনো তরফ থেকে বলা হয়নি এরকম করে দেন, ওরকম করে দেন। কেনো দিক থেকেই কমিশনের কেউই চাপের মধ্যে নেই। এটা জনগণকে বিশ্বাস করতে হবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কমিশনের কিছু করার নেই। সবসময় বলি, বিশ্বাস করি, এসব প্রশমিত হয়ে আসবে। আলটিমেটলি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ভোট করায় আমাদের চেষ্টা থাকবে নিরন্তর। ভোট মানেই চ্যালেঞ্জ। ইভিএমে হোক, ব্যালটেই হোক। চ্যালেঞ্জ উত্তরণে যা যা করা দরকার তা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার একটা বড় স্টেপ- দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়া সবখানে ব্যালট পেপার যতটা সম্ভব সকালে পাঠানোর চেষ্টা করবো। এসব নিয়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনা চলছে।
কমিশনার বলেন, অস্থিরতা তো সারাজীবন থাকবে? কোনোদিন রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল না? অতীতকে আমরা আঁকড়ে ধরবো না। অতীতের অভিজ্ঞতা নিয়ে এগোতে হবে। আমরা এখনও আশাবাদী বিএনপি ভোটে আসবে। দেড় বছর ধরে বরাবরই বলে আসছি, তারা আসবে। রাজনীতির কূটকৌশল, কে কীভাবে এগোবে ভোটের আগের দিন পর্যন্ত বলা কঠিন। এটা তারা কীভাবে নিচ্ছেন, কি কারণে করছেন, কি চিন্তা করছেন এটা তাদের ব্যাপার। আমরা কিন্তু আশাবাদী, কমিশন মনে করে তারা ভোটে আসবে।
রাশেদা সুলতানা বলেন, আস্থায় রাখতে না পারলে, উনারা (বিএনপি) মাথায় নিচ্ছে না আস্থায় আনা যায়। মাথায় নিলেই আস্থায় এসে যাবে। আমার ধারণা, একটা পর্যায়ে ওনারা আস্থায় নেবেন, ভোটে আসবে বলে আমরা বিশ্বাস।
নিবাচনের প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের আসলে একটা চতুর্মুখী প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। ভোট করতে গেলে আমাদের যে ধরনের কাজ করতে হয়, সব শুরু করে দিয়েছি। অনেক এগিয়ে গেছে, চলছে। তোড়জোড় চলছে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্দেশিকা তৈরি করার। আগামীকাল কমিশন সভায় উঠবে।
তিনি জানান, প্রশিক্ষণ শুরুর আগে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করা লাগবে। এজন্য ভোটকন্দ্রের তালিকা করার খসড়া এসে গেছে। এখন ভোটকেন্দ্র ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বিষয়ে তোড়জাড় শুরু হয়েছে। কেন্দ্রভিত্তিক প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসার দিয়ে কয়েক লাখ লোককে প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।
এ নির্বাচন কমিশনার জানান, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দক্ষতা, পেশাদারত্ব বিবেচনায় নীতিমালা মেনে কাজ করতে হবে। আগের মতো সবাই পক্ষপাতহীনভাবে কাজ করবে।
সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর তফসিল ঘোষণার পর প্রতীক বরাদ্দ শেষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে, বলেন রাশেদা সুলতানা।
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা জানান, কমিশন সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হলে বিস্তারিত জানানো যাবে। আমরা নিয়োগ দেবো না। স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র হয়ে আসবে। নীতিমালা মেনে তাদের কাজ করতে হবে।