৪৩তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে
নিজস্ব প্রতিবেদক : ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে আজ। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ হাজার ৮৪১ জন। উত্তীর্ণদের চূড়ান্ত মূল্যায়ন ভাইভা (মৌখিক পরীক্ষা) শুরু হচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। তবে ঠিক কত তারিখে মৌখিক পরীক্ষা শুরু তা সরকারি কর্ম কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।
রোববার (২০ আগস্ট) বিকেলে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশের পর পিএসসি জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে। মৌখিক পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি যথা সময়ে পত্রিকা ও কমিশনের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হবে।
মৌখিক পরীক্ষার আগে প্রার্থীদের যা করতে হবে
উত্তীর্ণ প্রার্থীকে নির্ধারিত অনলাইন ফরম প্রার্থীদের ৪৩তম বিসিএসের জন্য নির্ধারিত অনলাইন ফরম কমিশনের www.bpsc.gov.bd ওয়েবসাইট হতে ডাউনলোড করে সংগ্রহ করবেন। কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত অনলাইন ফরম BPSC Form-1 [ Applicant’s copy] এর সাথে প্রয়োজনীয় সনদ/ডকুমেন্টসের ২ সেট সত্যায়িত কপি মৌখিক পরীক্ষার দিন সংশ্লিষ্ট মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে জমা দিতে হবে এবং মূল সনদসমূহ বোর্ডে প্রদর্শন করতে হবে।
প্রার্থীর স্বাক্ষর যুক্ত এবং প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত অনধিক ৩ মাস পূর্বে তোলা ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি BPSC Form-1 এর উপরে বাম পাশে স্ট্যাপলার এর সাহায্যে সংযুক্ত করতে হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণস্বরূপ বোর্ড এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত সকল মূল/সাময়িক সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
বয়স প্রমাণের জন্য শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি./সমমানের পরীক্ষার মূল/সাময়িক সনদের সত্যায়িত কপি। ‘ও লেভেল’ এবং ‘এ লেভেল’ উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জন্ম তারিখ সংবলিত দালিলিক প্রমাণ দেখাতে হবে। উল্লেখ্য, বয়স প্রমাণের জন্য এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না। চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের সনদ/মার্কশিট/টেস্টিমোনিয়াল যদি
বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) উল্লেখ না থাকে তবে অর্জিত ডিগ্রি ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) মর্মে বিভাগীয় প্রধান/ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক/রেজিস্টার থেকে তার প্রত্যয়ন পত্রের সত্যায়িত কপি আবেদন পত্রের সাথে অবশ্যই জমা দিতে হবে। অন্যথায়, তাদের অর্জিত ডিগ্রি ৩ বছর মেয়াদি হিসেবে গণ্য করা হবে।
বিদেশ থেকে অর্জিত ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩০,১১,২০২০ তারিখে প্রকাশিত ৪০তম বি.সি.এস. পরীক্ষার বিজ্ঞাপনের ১.২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ইকুইভ্যালেন্স কমিটি/শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ইকুভ্যালেন্স সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
মেডিকেল (এমবিবিএস)/বিডিএস ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বিএমডিসি. পশুপালন (ভিভিএম) ডিগ্রিধারীদের ক্ষেত্রে ভেটেরিনারি কাউন্সিল এবং অন্যান্য বিষয়ের ডিগ্রিধারীদের ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়/সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত রেজিস্ট্রেশন সনদের একটি সত্যায়িত ফটোকপি আনতে হবে। আবেদনপত্রে বর্ণিত স্বামী ঠিকানার সাথে বিএমডিসি/ভেটেরিনারি কাউন্সিলের সনদে যোগ করতে হবে।
প্রার্থীর ওজন (কে.জি), উচ্চতা (সে.মি.) ও বুকের মাপ (সে. মি.) সম্পর্কে বিএমডিসি রেজিস্টার্ড মেডিকেল প্র্যাকটিশনার থেকে সত্যায়িত কপি। প্রত্যয়ন পত্র মেডিকেল প্রাকটিশনার রেজিস্ট্রেশন নম্বর অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে।
বর্তমানে কোনো সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/স্থানীয় সরকার সংস্থার চাকরিতে নিযুক্ত থাকলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত ছাড়পত্রের সত্যায়িত কপি।
কোনো প্রার্থী সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত/স্থানীয় সরকার সংস্থার চাকরি থেকে ইস্তফা দান করলে বা চাকরি থেকে অপসারিত হলে সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ থেকে ছাড়পত্র/গৃহীত ইস্তফাপত্র/অপসারণ আদেশের সত্যায়িত কপি।
প্রার্থী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায় ভুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের নিকট হতে প্রাপ্ত সনদের সত্যায়িত ফটোকপি। জেলা প্রশাসক ব্যতীত অন্য কোনো কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত সনদ গ্রহণযোগ্য হবে না।
প্রার্থী প্রতিবন্ধী হলে সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীন জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ পরিচালক/ সমমর্যাদা সম্পন্ন/দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত প্রতিবন্ধী সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
তৃতীয় লিঙ্গভুক্ত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সিভিল সার্জন কর্তৃক প্রদত্ত সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।
যেসব প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর রয়েছে তারা এনআইডির সত্যায়িত কপি জমা দেবেন। আর যাদের এনআইডি নম্বর নেই তারা এনআইডি পাওয়ার পর কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) বরাবর দরখাস্ত সহ এনআইডির সত্যায়িত কপি জমা দেবেন। তবে এনআইডি না থাকার কারণে কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে না। প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা বা পুত্র কন্যার পুত্র-কন্যা হলে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যুকৃত পিতা/মাতার মুক্তিযোদ্ধা সনদের সত্যায়িত কপি।
কোনো প্রার্থীকে ঠিকানায় মৌখিক পরীক্ষার কার্ড পাঠানো হবে না। সবাইকে পিএসসি ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে হবে।