আজ: মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩ইং, ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২২ অগাস্ট ২০২৩, মঙ্গলবার |


kidarkar

এশিয়া কাপ শেষ এবাদতের, কপাল খুললো সাকিবের


স্পোর্টস ডেস্ক : আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজ চলাকালে চোটে পড়েছিলেন এবাদত হোসেন। সেই চোট কাটিয়ে এখনও পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেননি এই পেসার। তাই আসন্ন এশিয়া কাপে খেলা হচ্ছে না তার।

এবাদতের এমন সর্বনাশে পৌষ মাস আরেক পেসার তানজিম হাসান সাকিবের। জাতীয় দলে প্রথমবারের মতো ডাক পেলেন তরুণ এই পেসার। আজ (মঙ্গলবার) আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

গেল মাসে ঘরের মাঠে আফগান সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে চলাকালে ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন এবাদত। আফগানিস্তানের ইনিংসের ৪২তম ওভারের তৃতীয় বলটি করার সময় লাফ দিতে গিয়ে আম্পায়ার গাজী সোহেলের কাঁধে বাড়ি খায় এবাদতের হাত। আর এমন ধাক্কা খেয়ে রানআপে নিজেকে ঠিকঠাক থামাতে পারেননি। ফলে পেছন ঘুরে পড়ে যান মাটিতে, তখনই পায়ে আঘাত পান এবাদত।

এরপর তাকে ৪৮ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কিন্তু এই সময়ে চোট গুরুত্বর অনুধাবন করতে পেরে এই পেসারকে নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করেন ফিজিও। ধারণা করা হয়েছিল, এশিয়া কাপ দিয়ে আবারও মাঠে ফিরবেন তিনি। তাই আসন্ন এই আসরের স্কোয়াডেও রাখা হয়েছিল তাকে। তবে পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় এই পেসারকে নিয়ে ঝুঁকি নিচ্ছে না টিম ম্যানেজমেন্ট।

এবাদতের চোট নিয়ে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, ‘চোটের পর এবাদত ছয় সপ্তাহ পুনর্বাসনে ছিল। এ সময় বেশ কয়েকবার এমআরআই করানো হয় এবং সেসব রিপোর্ট বলছে, এসিএল চোট নিয়ে এখনো দুশ্চিন্তার জায়গা আছে। আর তাই তার এশিয়া কাপে খেলা হচ্ছে না।’

এবাদতকে নিয়ে তাড়াহুড়া করতে চায় না বিসিবি। দেবাশীষের ব্যাখ্যা, ‘অক্টোবরে আইসিসি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ দলের জন্য পরবর্তী বড় টুর্নামেন্ট। তার আগে এবাদতকে পূর্ণ ফিটনেস ও খেলায় ফেরাতে বিসিবি চিকিৎসার সব রকম নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। চিকিৎসা ও পরামর্শের জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার ব্যাপারটিও এর আওতাভুক্ত।’

এবাদতের শূন্য জায়গা পূরণ করার জন্য অবশ্য একাধিক বিকল্প ছিল বিসিবির হাতে। সেই তালিকায় এগিয়ে ছিলেন তানজিম সাকিব। তাছাড়া এই তরুণ পেসারকে বিকল্প হিসেবে আগে থেকেই এশিয়া কাপের অতিরিক্ত ৩ সদস্যের স্কোয়াডে রাখা হয়েছিল। শেষমেশ এবাদতের চোটে কপাল খুলে গেল যুব বিশ্বকাপ জয়ী এই ক্রিকেটারের।

সদ্য সমাপ্ত ইমার্জিং এশিয়া কাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কারই পেলেন সাকিব। শ্রীলঙ্কার মাটিতে অনুষ্ঠিত এই আসরে বল হাতে রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছেন তিনি। মোট ৩ ম্যাচ খেলে শিকার করেছিলেন ৯ উইকেট। যেখানে ওমানের বিপক্ষে ১৮ রানে পেয়েছিলেন ৪ উইকেট।

এখনও পর্যন্ত লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সবমিলিয়ে ম্যাচ খেলেছেন ৩৭টি। যেখানে প্রায় ২৯ গড়ে শিকার করেছেন ৫৭ উইকেট। এই সময়ে তিনি বোলিং করেছেন ৫.৪৪ ইকোনোমিতে। ডানহাতি মিডিয়াম পেসের সঙ্গে লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট হাতেও কার্যকর সাকিব। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৩৭ ম্যাচে প্রায় ১২ গড়ে করেছেন ১৫৩ রান।


আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.