আজ: সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং, ১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৩ অগাস্ট ২০২৩, বুধবার |


kidarkar

বাংলাদেশে ৫০ সালের মধ্যে ৭ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে: এডিবি


নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থনৈতিক করিডোরের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশে। এই সুবিধা কাজে লাগানো গেলে ২০৫০ সালে বাংলাদেশে ৭ কোটি ১৮ লাখ কর্মসংস্থান হবে। পাশাপাশি ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের বাণিজ্য সুবিধা বাড়বে ২৮৬ বিলিয়ন ডলার, যা টাকার অংকে ৩১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।

‘বাংলাদেশ ইকোনমিক করিডোর ডেভেলপমেন্ট হাইলাইটস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বুধবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সন্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজার রহমান ও বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনের (বেজা) চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং। মূল প্রবন্ধ পস্থাপন করেন মি. সুন চ্যাং হোং। আলোচক হিসেবে ছিলেন এডিবির ডিরেক্টর সব্যসাচী মিত্র, প্রাণ আরএফএল এর ডিরেক্টর উজমা চৌধুরী এবং পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. মাসরুর রিয়াজ। সমাপনী বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী সদস্য অভিজিৎ চৌধুরী।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি করিডোর সুবিধা ব্যবহার করা না যায় তাহলে ২০৫০ সালে কর্মসংস্থান হবে ৩ কোটি ১১ লাখ। আর এই সুবিধা ব্যবহার করা গেলে হবে ৭ কোটি ১৮ লাখ কমংস্থান। এছাড়া ২০২৫ সালে সুবিধা ব্যবহার করা না গেলে হবে ১ কোটি ৩৪ লাখ, ব্যবহার করা গেলে ১ কোটি ৫৭ লাখ। ২০৩০ সালে সুবিধা ব্যবহার করা না গেলে ১ কোটি ৭০ লাখ, আর ব্যবহার করা গেলে হবে ২ কোটি ৩৪ লাখ কর্মসংস্থন। ২০৩৫ সালে সুবিধা কাজে না লাগানো গেলে ২ কোটি ১০ লাখ, সুবিধা কাজে লাগালে হবে ৩ কোটি ৪৭ লাখ কর্মসংস্থান হবে। এছাড়া ২০৪০ সালে কর্মস্থান হবে ২ কোটি ৪৮ লাখ। তবে করিডোর সুবিধা কাজে লাগানো গেলে হবে ৪ কোটি ৬২ লাখ কর্মসংস্থান।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক করিডোরের তিনটি পরিপূরক উপাদান রয়েছে, একটি বাণিজ্য ও পরিবহন করিডোর উৎপাদন ক্লাস্টার যা অভ্যন্তরীণ বাজারে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য উভয়ই ব্যবহারের জন্য পণ্য উৎপাদন করে। এছাড়া শহুরে কেন্দ্রগুলো উৎপাদন কেন্দ্র থেকে পণ্যগুলোর প্রধান বাজার হিসাবে কাজ করে এবং আন্তর্জাতিক গেটওয়ের মাধ্যমে আমদানি করা পণ্যের জন্য তারা শ্রম প্রযুক্তি, সহায়তা পরিষেবা, জ্ঞান এবং উদ্ভাবনের উৎস হিসাবেও কাজ করে। অর্থনৈতিক করিডোর উন্নয়নের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হলো স্বল্পোন্নত অঞ্চলের একীকরণের মাধ্যমে সমৃদ্ধি এবং অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি পায়।

বর্তমানে উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশ দেশের প্রধান পিছিয়ে থাকা অঞ্চল। তাই বাংলাদেশের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ জুড়ে অভিন্ন, সামগ্রিক এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য, বাংলাদেশ ইকোনমিক করিডোরকে (বিইসি) দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল (খুলনা বিভাগ) থেকে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে (সিলেট) পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার ধারণা দেওয়া হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক করিডোরটি মোট জনসংখ্যার ৩৪ শতাংশ কাভার করে ১৪টি জেলাকে জুড়ে রয়েছে। এর বেশিরভাগ উত্তর-পূর্ব জেলাগুলোর ছয়টি হটস্পটের একটিতে অন্তর্ভুক্ত।


আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.