শেয়ার বাজারে শক্ত অবস্থানে বহুজাতিক কোম্পানি
শাহ আলম নূর : দেশের শেয়ার বাজারে যখন মন্দা অবস্থা বিরাজ করছে এমন পরিস্থিতিতেও বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বেশ শক্ত অবস্থারন রয়েছে।
দেশের শেয়ার বাজার পর্যালোচনা করে দেখা যায় গত এক সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ বহুজাতিক কোম্পানির (এমএনসি) মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধি এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন বাজারে মন্দা অবস্থা বিরাজ করছে।
বাজার সংশ্লিষ্ঠরা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ইতিবাজক ধারায় ফিরে আসাকে একটি ইতিবাচক সূচক হিসাবে মনে করছেন।
সপ্তাহ জুড়ে, ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলিতে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি বাজারে উল্লেখযোগ্য লেনদেন বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করেছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৪৭ শতাংশ বেড়েছে।
যেসব কোম্পানির দাম বেড়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড (এলএইচবিএল) এবং ম্যারিকো বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য।
এই সম্মিলিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবনতা ইতিবাচক বাজারের গতিশীলতার দিকে নির্দেশ করে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
মিডওয়ে সিকিউরিটিজের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর উর্ধ্বমুখি প্রবনতা ইঙ্গিত দেয় যে বাজার জাঙ্ক শেয়ারের ওপর নির্ভরতা কমতে শুরু করেছে।”
জাঙ্ক শেয়ারের স্টকগুলির মধ্যে, জুট স্পিনার্স এবং নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, যারা এপ্রিল এবং মে মাসে অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির সাক্ষী ছিল যা গত এক সপ্তাহে সংশোধনের সম্মুখীন হয়েছে৷
বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ ২৭ জুলাই থেকে মূল্য বৃদ্ধি শুরু করে এবং ১৭ আগস্ট পর্যন্ত এই প্রবণতা বজায় রাখে।
কোম্পানিটি এক সপ্তাহে ডিএসই ট্রেডিং সেশনের পাঁচ দিনের মধ্যে চারদিনের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির যার শেয়ারের দাম ১৮২৬.৮০ টাকা থেকে ১৮৭৯.৩০ টাকার মধ্যে ছিল।
মেরিকো বাংলাদেশ ৭ আগস্ট ফ্লোর প্রাইস থেকে বেরিয়ে আসে এবং ১৬ আগস্ট পর্যন্ত একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করে। এক সপ্তাহে, কোম্পানিটির ডিএসইতে ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
লাফার্জ হোল সিমেন্ট বাংলাদেশ ২১ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিনটি সেশনের জন্য উর্ধ্বমুখি প্রবনতা প্রদর্শন করেছে।
আরেকটি কোম্পানি, রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ), ৬ আগস্ট থেকে ২২ আগস্টের মধ্যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করার পরে ২ শতাংশের বেশি মূল্য বৃদ্ধির পেয়েছে।
এই সপ্তাহে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এমন অন্যান্য বহুজাতিক কোম্পানি হল হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, ইউনিলিভার কনজিউমার কেয়ার এবং বাটা জুতা।
অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে রবি আজিয়াটা, গ্রামীণফোন, লিন্ডে বাংলাদেশ এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি এখনও ফ্লোর প্রাইসেই আটকে আছে।
BATBC তো অক্টোবর ২০২১ইং পরবর্তী সময় কা্ল থেকে ফ্লোরের কোমায়। আশানুরূপ কোন ভালো খবরের ঝলক দেখছি না। অথচ ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানি।