আজ: সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩ইং, ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৭ অগাস্ট ২০২৩, রবিবার |


kidarkar

দেখে দেখে সাক্ষ্য নেওয়া বন্ধের দাবিতে হাইকোর্টে খালেদার আবেদন


নিজস্ব প্রতিবেদক : বিচারিক আদালতে নাইকো দুর্নীতি মামলায় নথি দেখে দেখে দুদকের সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেওয়া বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ আবেদন করেন।

রোববার (২৭ আগস্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রয়েছে। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

এদিকে একই আদালতে নাইকো দুর্নীতির মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। গত ১৭ মে ওই আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপাসন। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয় বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার।

এর আগে ১৯ মার্চ নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।

অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডার কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন। পরে ২০০৮ সালের ৫ মে এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।


আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.