আজ: বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩ইং, ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৮ অগাস্ট ২০২৩, সোমবার |


kidarkar

মৃত ক্রেতার পরিবারকে ৩২ লাখ টাকার বেশি আর্থিক সহায়তা ওয়ালটনের


নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে শতাধিক কিস্তি ক্রেতা পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্য বিক্রয় এবং সেবা প্রদানকারি প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ালটন প্লাজা’। কিস্তি ক্রেতা গ্রাহকের পরিবারকে দেয়া প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ৩২ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারি গ্রাহকের বাকি কিস্তির টাকাও মওকুফ করে দিয়েছে ওয়ালটন প্লাজা।

দেশব্যাপী চলমান ওয়ালটন প্লাজার ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতির’ আওতায় কিস্তি ক্রেতা গ্রাহক ও পরিবারকে এই আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। কিস্তিতে পণ্য ক্রয় করার পর কোনো গ্রাহক ও তার পরিবারের সদস্যের অনাকাঙ্খিত মৃত্যুতে ওয়ালটন প্লাজা থেকে এই আর্থিক সহায়তা পেয়েছে সুরক্ষা কার্ডধারী গ্রাহকের পরিবারগুলো।

ওয়ালটন প্লাজার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ রায়হান বলেন, শুধু মুনাফা অর্জনই ওয়ালটন প্লাজার লক্ষ্য নয়। গ্রাহকদের হাতে সাশ্রয়ী দামে আন্তর্জাতিকমানের পণ্য তুলে দেয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদানেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ওয়ালটন প্লাজা। এরই প্রেক্ষিতে চালু করা হয়েছে ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি’। এর আওতায় ইতোমধ্যে সারা দেশে শতাধিক কিস্তি ক্রেতা ও গ্রাহকের পরিবারকে ৩২ লাখ টাকার বেশি আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। আর্থিক সহায়তা গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছে আরো বেশ কিছু গ্রাহকের পরিবার।

তিনি জানান, শুধু বাংলাদেশেই নয়; বিশ্বে একমাত্র ওয়ালটনই কিস্তিতে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের এমন সুরক্ষা ও সুবিধা প্রদান করছে। ক্রেতাদের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ থেকেই এই কার্যক্রম চালাচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এতে একদিকে ওয়ালটন প্লাজার সুনাম ও ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হচ্ছে। অন্যদিকে সাধারণ গ্রাহক পরিবারগুলোও উপকৃত হচ্ছেন।

ওয়ালটন প্লাজার ব্র্যান্ড ম্যানেজার ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ক্রেতাদের বাড়তি সুবিধা দেয়ার উদ্দেশ্যে গত বছরের ডিসেম্বরে ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি’ চালু করা হয়েছে। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারীদের কিস্তি সুরক্ষা কার্ড দেওয়া হয়। কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্যের অনাদায়ী কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট টাকা ক্রেতা বা তার পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে সারাদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটন প্লাজার এই সুরক্ষানীতি।

ওয়ালটন প্লাজা থেকে সম্প্রতি আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেছেন রাজধনীর ডেমরায় পোশাক শ্রমিক আল-আমিন শরিফ মুন্না। তিনি চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারিতে ডেমরা ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে মিক্সার গ্রাইন্ডার ও ইলেকট্রিক ফ্যান কেনেন। এরপর গত ১৬ জুন তার স্ত্রী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। স্ত্রীর মৃত্যুতে তার বাকি কিস্তির টাকা মওকুফসহ ২৫ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে প্লাজা।

কিস্তির টাকা মওকুফ করার পাশাপাশি আর্থিক সুবিধা দেয়ায় ওয়ালটন প্লাজাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুন্না বলেন, অনেক কোম্পানিই এখন কিস্তিুতে পণ্য বিক্রি করছে। কিন্তু ওয়ালটনের মতো কোনো কোম্পানি কিস্তি ক্রেতাকে এমন আর্থিক সুবিধা দিচ্ছে না। বাংলাদেশে এই অভাবনীয় কাজটি করে দেখাচ্ছে ওয়ালটন। এখানেই ওয়ালটন সবার থেকে আলাদা এবং দেশের সেরা। এর মাধ্যমে প্রিয়জন হারিয়ে শোকগ্রস্ত একটি পরিবার কিছুটা হলেও শান্ত¦না পাচ্ছেন। বিশেষ করে সাধারণ ক্রেতারাই আর্থিকভাবে সব থেকে বেশি লাভবান হচ্ছে।

এদিকে সম্প্রতি চট্টগ্রামের চকবাজার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেন মৃত কিস্তি ক্রেতা জসিম উদ্দীনের স্ত্রী রংমালা খাতুন। চকবাজার ওয়ালটন প্লাজা থেকে গত ১৬ এপ্রিল একটি স্মার্ট এলইডি টিভি কেনার পর গত ২০ জুন স্ট্রোকে মৃত্যুবরণ করেন ক্রেতা জসিম। পরিবারের প্রধান উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পড়েন রংমালা খাতুন। এসময় তার পাশে এসে দাঁড়ায় ওয়ালটন প্লাজা। পরিবারটির বাকি সব কিস্তি মওকুফসহ মোট ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। বিপদের দিনে এই আর্থিক সহায়তা তাদের অনেক উপকারে এসেছে বলে জানান রংমালা খাতুন।

এছাড়াও আর্থিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি দেশের স্বনামধন্য হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জীবন বীমা, রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা কার্ডধারীদের জন্য সর্বোচ্চ সেবা ও মূল্যছাড়সহ বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করেছে ওয়ালটন প্লাজা। কিস্তি ক্রেতারা যেন জীবদ্দশাতেই খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন খাতে বিশেষ সুবিধা পান সেজন্যেই এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা চলমান থাকবে এবং এর আওতা পর্যায়ক্রমে আরও বৃদ্ধি করা হবে।


আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.