তরুণ প্রতিভাদের তুলে ধরতে অনুষ্ঠিত হলো শপআপের প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিযোগিতা কোডজিরো
নিজস্ব প্রতিবেদক: তরুণ প্রজন্মের প্রতিভা তুলে ধরতে দেশের শীর্ষ বিটুবি প্ল্যাটফর্ম শপআপের আয়োজিত প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিযোগিতা কোডজিরো’র সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শপআপ দেশের মিল ও উৎপাদকদের সাথে দেশব্যাপী মুদি দোকানের সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি আরও সহজলভ্য করতে কাজ করে। এই প্রতিযোগিতায় প্রোগ্রাম ম্যানেজাররা নো-কোড প্ল্যাটফর্মের মৌলিক বিষয়গুলো আয়ত্ত করে বাস্তবিক সমস্যার সমাধান করে।
সাধারণ কোডিংয়ের বাইরে নতুন ধারাকে তুলে ধরতে মাসব্যাপি এই প্রতিযোগিতার প্রথম দুই সপ্তাহে ২৪ জন প্রোগ্রাম ম্যানেজারকে ৮টি দলে ভাগ করে বিভিন্ন নো-কোড প্ল্যাটফর্মের খুঁটিনাটি অনুসন্ধান করতে দেওয়া হয়। নো-কোড প্লাটফর্মে দক্ষতা আয়ত্ত করার পর দলগুলোকে শপআপের ব্যবসার বিভিন্ন প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ সমাধানের দায়িত্ব দেয়া হয়।
কোনো ইঞ্জিনিয়ারের সাহায্য ছাড়াই প্রতিযোগী দলগুলো বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সমাধান তৈরি ও বাস্তবায়নে কাজ করে। ব্র্যাক সিডিএম-এ আয়োজিত সমাপনী পর্বে বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন ও আলোচনার ভিত্তিতে দলগুলো তাদের বিভিন্ন প্রজেক্ট সকলের সামনে উপস্থাপন করে। আলফা এবং আননেমড দল দুটি প্রতিযোগিতার বিজয়ী ঘোষিত হয়।
শপআপের অ্যাসোসিয়েট প্রোডাক্ট ম্যানেজার এবং টিম আলফার একজন সদস্য হিসেবে নোভেরা তাসনুভা অরা বলেন, “তরুণ প্রজন্মের উদ্ভাবনী চিন্তাশক্তি ও প্রতিভা বিকাশের সাথে সাথে দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলোকে উন্নত করার জন্য এই প্রতিযোগিতাটি সকলের জন্য অনন্য একটি প্লাটফর্ম ছিলো বলে আমি মনে করি।”
“দেখে অসাধারণ লেগেছে যে নো-কোড প্লাটফর্ম কাজে লাগিয়ে উদ্ভাবনী চিন্তার মাধ্যমে প্রতিযোগী দলগুলো যে সমাধান নিয়ে এসেছে, সেগুলো এক-একটা আলাদা স্টার্টআপ হয়ে দাঁড়ানোর
যোগ্যতা রাখে” এভাবেই কোডজিরো প্রতিযোগিতা নিয়ে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন শপআপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং চিফ প্রোডাক্ট অফিসার আতাউর রহিম চৌধুরী।
আশা করা যায়, কোডজিরো প্রতিযোগিতার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তরুণ প্রোগ্রাম ম্যানেজাররা শপআপের মূল টার্গেটঃ দেশের ৮ কোটি মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্মত খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে আরো বড় অবদান রাখবে।