আজ: সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং, ১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার |


kidarkar

থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধর

রমনা বিভাগ থেকে এডিসি হারুন প্রত্যাহার


নিজস্ব প্রতিবেদক : শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যাতন করার অভিযোগে পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, তাকে (এডিসি হারুন) প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

এদিকে ডিএমপি সূত্র জানিয়েছে, এডিসি হারুনকে ডিএমপির সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাকে পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) বদলি করা হবে।

এ ব্যাপারে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, এডিসি হারুনকে রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে ডিএমপি সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হচ্ছে। তাকে পিওএম-এ বদলির বিষয়ে দ্রুত আদেশ জারি হবে। পরে তদন্ত কমিটি হবে। সেখানে কে দোষী, কে নির্দোষ প্রমাণিত হবে।

এর আগে দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ বলেন, ডিএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানেন। এটি তদন্ত করা হবে, তদন্তে এডিসি দোষী হলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যাতন করেন এডিসি হারুন।

ভুক্তভোগী দুজন হলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে নারীঘটিত একটি ঘটনার জেরে শাহবাগ থানায় তাদের নির্যাতনের পর মারধর করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার জেরে রাতে শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে ঘটনা মীমাংসা করেন।

ঢাবি ছাত্রলীগের সূত্র জানায়, এডিসি হারুন শনিবার রাতে আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাকবিতণ্ডা হয়।

পরে এডিসি হারুন দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে আনেন। তাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। এরপর তাদের অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে পাঠানো হয়।


আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.