সামিটের তিন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদ্যুৎ খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেডের তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হয়েছে। গত ৩১ আগস্ট এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) করা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) মেয়াদ শেষ হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।
জানা গেছে, সামিট পাওয়ারের আশুলিয়া, চান্দিনা ও মাধবদী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পিপিএর মেয়াদ এরই মধ্যে ‘বিদ্যুৎ নেই-বিল নেই’ ভিত্তিতে পাঁচ বছর বাড়ানো হয়েছিল। এ মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩১ আগস্ট। এ কেন্দ্রগুলোর মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি ট্যারিফ নির্ধারণ ও অন্যান্য শর্তের বিষয়টি নিয়ে বিআরইবির সঙ্গে আলোচনা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
অনিরীক্ষত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৮৫ পয়সা। আলোচ্য হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৪৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময় যা ছিল ৮৩ পয়সা।
চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট পরিচালন নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৮২ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪ টাকা ৩ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৭ টাকা ৬৮ পয়সায়, ২০২২ সালের ৩০ জুন শেষে যা ছিল ৩৫ টাকা ৭২ পয়সা।
২০০৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ৫০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৬৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২ হাজার কোটি ৯৪ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ১০৬ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২৩৯। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক ১৮ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।