এআই নির্ধারণ করবে শেয়ারের ভবিষ্যৎ মূল্য : গবেষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহারের মাধ্যমে শেয়ারের ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণ করা যাবে বলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন শেয়ারের ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে তা বিআইসিএম’র গবেষণায় উঠে এসেছে। এক্ষেত্রে দেখা যায় যে, শেয়ারের ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ফিন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট যতগুলো অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন রয়েছে তার মধ্যে শুধু শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস), শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) এবং শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লোর অগ্রাধিকার রয়েছে।
এক্ষেত্রে এনএভি ও শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লোর অবদান খুব নগণ্য। সাধারণত বিনিয়োগকারীরা শেয়ার মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ফিন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্টের প্রধান সূচকগুলো সমানভাবে আলোকপাত না করে মূল্য নির্ধারণ করেন। এক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মাধ্যমে তুলনামূলক সহজে শেয়ারের ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণ করা সম্ভব- বলে বিআইসিএম’র গবেষণায় উল্লেখ করা হয়ছে।
নটর ডেম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’র কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহীনা সুলতানা বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ এবং অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশনের ব্যবহার এ তিনটি বিষয় একীভূতকরণ নতুন একটি উদ্যোগ। তিনি এ উদ্যোগকে সফল বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে গবেষণা কর্মটি আরও সমৃদ্ধ করার ব্যাপারে পরামর্শ দেন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার শেয়ারের ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসের সহযোগী অধ্যাপক ড. অদিতি শামস বলেন, একাডেমিক ক্ষেত্রেও এর প্রভাব কি হতে পারে, তা আলোচ্য গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
বিআইসিএম’র নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার বলেন, অ্যাকাউন্টিংয়ের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংযোগ একটি কঠিন বিষয়। বিষয়টি এ গবেষণায় অত্যন্ত সাবলীলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। শেয়ারের মূল্য নির্ধারণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যথাযথভাবে ব্যবহার করা গেলে বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ার নির্বাচনও সহজতর হবে।