আজ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার |

kidarkar

কানাডা-ভারত দ্বন্দ্ব নিয়ে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কানাডার শিখ ধর্মাবলম্বীদের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারত ও কানাডার মধ্যে চলমান টানাপোড়েনের মধ্যেই এবার এ প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করল যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই ইস্যুতে ভারতের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে তার দেশ।

শুক্রবার রাজধানী ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে ব্লিনকেন বলেন, ‘(হরদীপ হত্যাকাণ্ড নিয়ে) কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সম্প্রতি যে অভিযোগ তুলেছেন, তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই ইস্যুতে কানাডায় তদন্ত চলছে এবং তাতে ভারতেরও অংশ নেওয়া জরুরি। আমরা জবাবদিহিতা দেখতে চাই।’

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের জলন্ধর থেকে ১৯৭৭ সালে কানাডায় গিয়েছিলেন হরদীপ সিং নিজ্জর, পরে সেই দেশের নাগরিকত্ব অর্জন করেন।

৪৫ বছর বয়সী হরদীপ সিং নিজ্জর ভারতের খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী খালিস্তান টাইগার ফোর্স এবং শিখস ফর জাস্টিস কানাডা শাখার শীর্ষ নেতা ছিলেন। গত ১৮ জুন দেশটির ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের রাজধানী ভ্যানকুভারের একটি গুরুদুয়ারার সামনে নিহত হন তিনি।

নিজ্জরের হত্যার জন্য ভারতকে সরাসরি দায়ী করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ভাষণে তিনি বলেন, এই অভিযোগের পক্ষে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ তার কাছে রয়েছে।

তার এই বক্তব্যের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। গত কয়েক দিনে তলানিতে ঠেকেছে উভয় দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক। কারণ, ভারতের অভিযোগ— কানাডা সুনির্দিষ্টভাবে এ সম্পর্কিত কোনো তথ্য প্রদান করেনি। জাস্টিন ট্রুডোর অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ বলেও উল্লেখ করেছে করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এদিকে, দুই দেশের এই সাম্প্রতিক টানাপোড়েনে অস্বস্তিতে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, উন্নত বিশ্বের যেসব দেশ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে ঘণিষ্ট মিত্র, তাদের মধ্যে কানাডা অন্যতম। অন্যদিকে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ও কৌশলগত অংশীদার ভারত।

মূলত এ কারণে কানাডা-ভারতের সাম্প্রতিক দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্র চুপ ছিল। পরে হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে উদ্বেগ জানিয়ে বলা হয়, হরদীপ হত্যার তদন্তে কানাডাকে গোয়েন্দা পর্যায়ে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শুক্রবারের ব্রিফিংটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অ্যান্টনি ব্লিনকেন বাইডেন প্রশাসনের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও জেষ্ঠ্য কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্যতম।

‘আমরা কানাডার সরকারের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি এবং এই যোগাযোগ কেবল আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই; এই ইস্যুতে শুরু হওয়া তদন্তের সমন্বয়ের ক্ষেত্রেও আমরা কানাডাকে সহযোগিতা করছি,’ ব্রিফিংয়ে বলেন ব্লিনকেন।

সূত্র : রয়টার্স

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.