আজ: রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার |

kidarkar

চীনের ১৪০ কোটি মানুষ থাকার পরও অনেক বাড়ি খালি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্রেতার অভাবে খালি পড়ে রয়েছে চীনের লাখ লাখ ফ্লাট। এমনকি দেশটির ১৪০ কোটি জনসংখ্যার সবাই এসব আবাসনে থাকলেও অনেক ফ্লাট খালি থেকে যাবে। গতকাল শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দেশটির সংকটে থাকাস্ত রিয়েল এস্টেট খাত নিয়ে বিরল এ মন্তব্য করেন সাবেক এক কর্মকর্তা। খবর সিএনএন।

চীনা অর্থনীতির একসময়কার স্তম্ভ আবাসন খাত ২০২১ সালের পর থেকেই পড়তি অবস্থা দেখছে। রিয়েল এস্টেট জায়ান্ট চায়না এভারগ্র্যান্ড গ্রুপসহ অন্যান্য সংস্থার লাগাতার ঋণ পরিশোধের ব্যর্থতা সংকটের অন্যতম কারণ। সর্বশেষ কান্ট্রি গার্ডেন হোল্ডিংসের ধস এ খাতে বড় হতাশার সৃষ্টি করেছে।

সংস্থাগুলোর দেনা আবাসন খাতের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নানা কারণে ক্রেতারাও নতুন অ্যাপর্টমেন্ট ক্রয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এতে অবিক্রিত, খালি ও ইনস্টটলমেন্ট আটকে যাওয়া ফ্লাটের সংখ্যা বেড়েই চলছে। যা চীনের অর্থনৈতিক সংকটের বড় কারণ।

দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুরোর হাল নাগাদ তথ্য মতে, আগস্টের শেষ পর্যন্ত অবিক্রিত বাড়ির সম্মিলিত ফ্লোরের পরিমাণ ছিল ৭০০ কোটি বর্গফুট।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আকার গড়ে ৯৭০ বর্গফুট ধরলে অবিক্রিত বাড়ির সংখ্যা হবে ৭২ লাখ।

যে বাড়িগুলো এর মধ্যেই বিক্রি হয়েছে সেগুলো গণনাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে পরিসংখ্যানে কিছু বাড়ি রয়েছে যেগুলোর ঋণ এখনো পরিশোধ হয়নি।

চীনের পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাবেক উপ-প্রধান হে কেং বলেন, এখন কয়টা খালি বাড়ি আছে? এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের আলাদা আলাদা মত রয়েছে। তবে সবচেয়ে চরম মতটি হলো, বর্তমানে খালি থাকা বাড়ি ৩০০ কোটি মানুষ থাকার জন্য যথেষ্ট।

সরকারি মিডিয়া চায়না নিউজ সার্ভিস দক্ষিণ চীনে অনুষ্ঠিত একটি ফোরামের ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে ৮১ বছর বয়সী হে কেং-তে আগের কথার সূত্র ধরে বলতে শোনা যায়, এ অনুমান কিছুটা বেশি হতে পারে। তবে সম্ভবত ১৪০ কোটি মানুষও খালি থাকা বাড়িগুলো ভর্তি করতে পারবেন না।

প্রকাশ্যে ফোরামে গুরুত্বপূর্ণ খাত সম্পর্কে এমন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি চীনের অর্থনীতি সম্পর্কে সরকারি বয়ানের বিপরীত। সাম্প্রতিক এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, চীনের অর্থনীতির পতনের ভবিষ্যদ্বাণী প্রতিনিয়ত সামনে আসছে। কিন্তু চীনের অর্থনীত ধসে পড়ছেন না, ধসে পড়ছে এ ধরনের অতিকথন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.