ইসরায়েল-হামাসের পাল্টাপাল্টি হামলা, নিহত ৫ শতাধিক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় আড়াই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন এক হাজার ৬১০ জন ফিলিস্তিনি। এর আগে শুরু হওয়া ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের আক্রমণে নিহত ইসরায়েলির সংখ্যা আড়াইশ ছাড়িয়ে গেছে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, ইসরায়েলে নিহত ৩০০ ছাড়িয়েছে এবং আহত ইসরায়েলির সংখ্যা দেড় হাজার।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ফিলিস্তিনিরা অন্তত ৫০ জন ইসরাইলিকে আটক করেছে। এর মধ্যে জেনারেলসহ বেশ কয়েকজন ইসরাইলি সেনাও রয়েছে। ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের সাতটি ইহুদি উপশহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী আকাশ থেকে একাধারে বোমা ফেলছে। এর ফলে হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গাজার বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবনে বোমাবর্ষণ করেছে ইসরাইলি বাহিনী।
শনিবার ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘আল-আকসার তুফান’ নামক অভিযান চালানোর পর ইসরাইলি বাহিনী গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে গাজা সীমান্ত দিয়ে শত শত ফিলিস্তিনি ইসরাইলে ঢুকে পড়েন।
ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ যুদ্ধের ইতিহাসে একদিনের হামলায় ইসরাইলের এত বিশাল ক্ষয়ক্ষতি আর কখনও হয়নি। ফিলিস্তিনের হামাস যোদ্ধারা বলেছেন, নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে দখলদার ইসরাইলের গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে ইসরাইল গাজা উপত্যকার সাতটি স্থানে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শত শত ফিলিস্তিনি পরিবার তাদের সহায় সম্বল ফেলে রেখে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছে। এসব এলাকায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালানো হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তেল আবিব আকাশপথে নির্বিচারে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান চালানো হবে বলে ঘোষণা করেছে। দেশটির সরকার বলছে, তারা হামাসসহ অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠনের যুদ্ধ করার সক্ষমতা ধ্বংস করতে যা কিছু করা প্রয়োজন তা করবে।
এর আগে ইসরাইলের বিরুদ্ধে বড় ধরনের হামলা হয়েছিল ৫০ বছর আগে ১৯৭৩ সালে। তবে সে হামলা ফিলিস্তিনিরা করেনি বরং মিশর ও সিরিয়া যৌথভাবে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে তাদের হাতছাড়া হয়ে যাওয়া ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে ওই হামলা চালিয়েছিল। ইহুদিদের ইওম কিপ্পুর ছুটির দিনে ওই হামলা হয়েছিল বলে তাকে ইওম কিপ্পুর যুদ্ধ নামেও অভিহিত করা হয়। ওই যুদ্ধ ১৯৭৩ সালের ৬ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় তিন সপ্তাহ স্থায়ী হয়েছিল। সূত্র: পার্সটুডে, আল-জাজিরা, সিএনএন, রয়টার্স