সংবিধান অনুসারে সংলাপ হলে আপত্তি নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংবিধান অনুসারে সংলাপ হলে আপত্তি নেই বলে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুককে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার (১ নভেম্বর) বাংলাদেশে ব্রিটেনের হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুকের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারাহ কুক (বৃটেনের হাইকমিশনার) সংলাপের বিষয়টি তুলেছেন। আমরা বলেছি, আমরাও সংলাপে বিশ্বাস করি। সারাহ কুকও বলেছেন, সংলাপের প্রয়োজন আছে।
সরকার সংলাপের উদ্যোগ নেবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, শর্তহীনভাবে যারা আসবেন, তাদের স্বাগত জানাব। আমরা দরজা বন্ধ রাখিনি। তবে সবকিছু হতে হবে সংবিধান অনুসারে।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিএনপি সংলাপ চায় না, সহিংসতা চায়। কারণ, জনগণ তাদের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তারা (বিএনপি) চায় অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে। ২৮ অক্টোবর সেটি প্রমাণ করেছে বিএনপি।
মন্ত্রী বলেন, অবরোধ আন্দোলনের নামে যেখানেই তারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানেই ব্যবস্থা নেবে।
বিএনপির অবরোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের অবরোধেও অফিস-আদালত চলছে, গাড়ি চলছে, দোকানপাট খোলা আছে, সবই স্বাভাবিক। দু-একটি স্থানে গাড়ি পোড়ানোসহ বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তৎপর রয়েছে।
গতকাল ব্রাসেলস সফর নিয়ে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে এক সাংবাদিক জানতে চান, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নির্বাচন নিয়ে শর্তহীন সংলাপে বসার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান কী?
বিএনপিকে খুনিদের দল আখ্যা দিয়ে দলটির সঙ্গে সংলাপের বিষয়টি একরকম উড়িয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, খুনিদের সঙ্গে আবার কীসের সংলাপ?
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কার সঙ্গে সংলাপ? বিরোধী দলের সঙ্গে। কোন বিরোধী দল? বিরোধী দলটা কে? সংসদীয় নিয়মে বিরোধী দলের একটা ব্যাখ্যা আছে। বিরোধী দল হচ্ছে সেই দল যাদের সংসদে নির্বাচিত প্রতিনিধি আছে। এর বাইরেরগুলো পরিগণিত হয় না। আমেরিকায়ও হয় না। ট্রাম্পকে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) কী বলবে? যদিও আমরা তাদের মতো সরকার ব্যবস্থায় নেই। এটা মাথায় রাখতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা মানুষের সম্পদ নষ্ট করেছে, যারা আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নষ্ট করেছে, তারা বসে বসে ডিনার খাক (মার্কিন রাষ্ট্রদূত), ডায়ালগ করুক। এটা আমাদের দেশ, আমরা স্বাধীনতা এনেছি রক্ত দিয়ে।’