আজ: মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০১ ফেব্রুয়ারী ২০১৫, রবিবার |

kidarkar

তিন বীমা কোম্পানির নিবন্ধন দিতে অর্থমন্ত্রণালয়ের সুপারিশ

insuranceশেয়ারবাজার রিপোর্ট : ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জীবন বীমা কোম্পানি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন (এলআইসি) এবং জাপানের তাইও লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সঙ্গে অংশীদার হিসেবে দেশের বীমা বাজারে ব্যবসার লাইসেন্স দেয়ার সুপারিশ করেছেন অর্থ মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

এ ছাড়াও ফারইস্ট জেনারেল ইন্সুরেন্স নামে একটি বীমা কোম্পানিও লাইসেন্স পেতে যাচ্ছে বলে আইডিআরএ সূত্রে জানা গেছে।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র কাছে ১২ জানুয়ারি লিখিত এক চিঠিতে এ ২ কোম্পানিকে লাইসেন্স দেয়ার সুপারিশ করেন তিনি। এতে তিনি বলেন, ‘এলআইসি ও তাইও ভালো কোম্পানি। বাংলাদেশের বাজারে এ দুটি কোম্পানি এলে তা দেশের বীমা খাতকে শক্তিশালী করবে।’

ভারতের এলআইসির নেতৃত্বে বাংলাদেশের পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্স কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এলআইসি (বাংলাদেশ) লি: এবং জাপানের বীমা কোম্পানি তাইও লাইফ ও বাংলাদেশের সামিট গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় তাইও সামিট লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লি:।

তাইও-সামিট লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি ২০১৩ সালে আবেদন করে অনুমোদন পায়। ব্যবসার লাইসেন্স পাওয়ার আগে পরিচালক ও জাপানি উদ্যোক্তার অংশীদারির আনুপাতিক হার পরিবর্তন করে বাংলাদেশী উদ্যোক্তা সামিট গ্রুপ। এর ফলে লাইসেন্স আটকে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এক পর্যায়ে কোম্পানিটির জাপানি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনায় মূল প্রস্তাবনা অনুসরণ করে লাইসেন্সের আবেদন করতে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দেয় আইডিআরএ।

অন্যদিকে বাংলাদেশে বীমা ব্যবসা করতে লাইসেন্স চেয়ে ২০১৩ সালের ২৭ এপ্রিল আবেদন করে এলআইসি (বাংলাদেশ) লি:। এরপর ২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর এক চিঠিতে লাইসেন্স পেতে এলআইসির করা দরখাস্ত নামঞ্জুর করার সিদ্ধান্তের বিষয় জানিয়ে দেয় আইডিআরএ। লাইসেন্স না দেয়ার পেছনে বীমা আইন ২০১০ এর বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করে এলআইসির দরখাস্তের ত্রুটি ও অসম্পূর্ণতা দেখিয়ে ৩ টি কারণ তুলে ধরা হয়। দরখাস্তের সঙ্গে আবেদনকারীর ঘোষণাপত্র সংযুক্ত নেই, কোম্পানির প্রস্তাবিত প্রধান নির্বাহির জীবন বৃত্তান্তে সত্যপাঠ (এফিডেবিট) নেই এবং পরিশোধিত মূলধন ও কাজ পরিচালনার মূলধনের বিবরণী যথাযথভাবে সত্যায়িত করা হয়নি। চিঠিতে আবেদন নাকচ করে কোম্পানিটিকে জমা দেয়া টাকা তুলে নিতে অনুরোধ করে আইডিআরএ।
জবাবে কোম্পানির চেয়ারম্যান সূর্য কৃমার রায় ২০১৪ সালের ২৭ জানুয়ারি আইডিআরএ’র কাছে এক চিঠি পাঠান। চিঠিতে তিনি জানান এলআইসি বাংলাদেশে বীমা ব্যবসা করতে লাইসেন্স চেয়ে করা আবেদন পত্রে উল্লেখ করা প্রতিটি তথ্য সঠিক ও সত্য। এছাড়া যে সব কাগজ পত্র নেই বলে জানানো হয়েছে তার প্রত্যেকটি দরখাস্তের সঙ্গে রয়েছে। এ জন্য  দরখাস্তটির সঙ্গে সংযুক্ত কাগজপত্র দেখতে অনুরোধ জানান তিনি।
চিঠিতে কোম্পানিটিকে লাইসেন্স দেয়ার বিষয়টি পূণ:বিচেনা করার অনুরোধ জানান এলআইসি চেয়ারম্যান।
এরপর এলআইসির আবেদন নাকচ করার বিষয় জানিয়ে জমাকৃত টাকা ফেরত নিতে ৭ জানুয়ারি দূতাবাসকে চিঠি দেয় আইডিআরএ। এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ জানুয়ারি আইডিআরকে এ চিঠি দেয় বাংলাদেশে ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার সন্দ্বীপ চক্রবর্তী। এ বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করে এলআইসিকে লাইসেন্স না দেয়ার পেছনে কোন বস্তুনিষ্ঠ কারণ দেখতে পাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

 

শেয়ারবাজার/আ হা

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.