আজ: শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ইং, ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২০ নভেম্বর ২০২৩, সোমবার |

kidarkar

বিশেষ সুবিধা নিয়ে তালিকাভুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় দুই কোম্পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এনআরবি ব্যাংক এবং প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) নিয়ে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দিয়েছে।

উভয় কোম্পানিই তাদের আইপিও প্রস্তাব দেওয়ার আগের দুই বছরে শেয়ার ইস্যু করে পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি করেছে। যা পাবলিক ইস্যু বিধিগুলির স্পষ্ট লঙ্ঘন। যেখানে বলা হয়েছে, কোনও কোম্পানি যদি আগের দুই বছরের মধ্যে নতুন শেয়ার ইস্যু করে তার পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি করে, তাহলে আইপিওর জন্য আবেদন করতে পারবে না।

এই বিচ্যুতির বিপরীতে কমিশন কোম্পানি দুটির ক্ষেত্রে একটি শর্ত আরোপ করেছে। সেটি হলো আইপিও আবেদন জমা দেওয়ার আগে দুই বছরের মধ্যে ইস্যু করা শেয়ারগুলি স্টক এক্সচেঞ্জে প্রথম ট্রেডিং দিন থেকে তিন বছরের লক-ইন থাকবে।

বিএসইসি ইতিমধ্যেই এনআরবি ব্যাংকের আইপিও অনুমোদন করেছে। আর প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের আবেদন বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এনআরবি ব্যাংক ২০২১ সালের জুনে রাইট শেয়ার ইস্যু করার মাধ্যমে ৭৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছে। যেখানে প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স আগের বছরের ডিসেম্বরে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা নগদ জমা করে শেয়ার ইস্যু করেছে।

এনআরবি ব্যাংক

চতুর্থ প্রজন্মের বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠান এনআরবি ব্যাংক। কোম্পানিটি আইপিওর মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য বিএসইসি থেকে অনুমোদন পেয়েছে।

ব্যাংকটি অভিহিত মূল্য আইপিওর মাধ্যমে ১০ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করবে।

প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স

প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স অভিহিত মূল্যে আইপিওর মাধ্যমে ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য আবেদন করেছে। প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা ১ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করবে কোম্পানিটি। প্রতিষ্ঠানটি আইপিও প্রসপেক্টাসে বলেছে, ১৫ কোটি টাকার মধ্যে এটি সরকারী ট্রেজারি বন্ড এবং ফিক্সড ডিপোজিট রসিদ সহ শেয়ারবাজারে ১৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করবে।

এছাড়াও, কোম্পানিটি তার কর্মীদের ২২ লাখ ৫০ হাজার সাধারণ শেয়ার ইস্যু করবে, যা বিএসইসি ইতিমধ্যে অনুমোদন করেছে। পাবলিক ইস্যু বিধি অনুসারে শেয়ারগুলি লক করা থাকবে।

প্রসপেক্টাস অনুসারে, ২০২২ সালের শেষে কোম্পানির জীবন বীমা তহবিল ২০২১ সালে ৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা থেকে ৭৬ শতাংশ বেড়ে ১১ কোটি ৬৪ লাখ টাকায় হয়েছে।

কোম্পানির মোট সম্পদ আগের বছরের ২৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ৩৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকায় হয়েছে। যেখানে ২০২২ সালে ৩১ শতাংশ কমে ৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকায় হয়েছে।

কোম্পানিটির নেট প্রিমিয়াম আগের বছরের ৪০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ৪৬ কোটি ৭১ লাখ টাকায় হয়েছে।

২০২২ সালের শেষে কোম্পানিটি ২৪ কোটি টাকার দাবি নিষ্পত্তি করেছিল। যা ২০২১ সালে ২৩ কোটি ৩৬ লাখ থেকে বেড়েছে।

৬ উত্তর “বিশেষ সুবিধা নিয়ে তালিকাভুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় দুই কোম্পানি”

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.