আজ: শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ইং, ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২০ নভেম্বর ২০২৩, সোমবার |

kidarkar

১৫ মাস পর কারামুক্ত হলেন জবি শিক্ষার্থী খাদিজা

নিজস্ব প্রতিবেদক : জামিনের পর অবশেষে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা খাদিজা।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় দীর্ঘ প্রায় ১৫ মাস ধরে সাজা ভোগ করছিলেন তিনি।

সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহাজাহান আহমেদ।

তিনি বলেন, গতকাল (রোববার) রাতে খাদিজাতুল কুবরার জামিনের কাগজ কারাগারে এসেছে পৌঁছায়। পরে যাচাই-বাছাই শেষে আজ সকাল ৯টায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ১৬ নভেম্বর খাদিজার হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন তিনি। এরপর থেকে কারাগারে ছিলেন তিনি।

সে হিসেবে প্রায় ১৫ মাস কারাবন্দি ছিলেন এ শিক্ষার্থী।

২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ।

২০২২ সালের মে মাসে পুলিশ দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। সেই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

ওই মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন নামঞ্জুরের পর তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। এ জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ।

ধারাবাহিতকায় বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। গত ১৬ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বেঞ্চ খাদিজাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.